প্রতারণা, জাল জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া পরিচয়, নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে রোহিঙ্গা নারীকে জন্মসনদ দেওয়া এবং পাসপোর্ট পেতে সহযোগিতা করার অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩৪নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ইসমাইল বালি (৪৯), ওয়ার্ড অফিসের জন্ম নিবন্ধন সনদ সহকারী সুবর্ণ দত্ত, দালাল সিরাজুল ইসলাম, সনাক্তকারী মোহাম্মদ ইসমাইল (৫৬), তার স্ত্রী মেহের জান (৪২) এবং রোহিঙ্গা নারী অহিদাসহ (২৬) ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার সকালে দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেন সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন। মামলায় দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা নারী অহিদা ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর নগরীতে পাঁচলাইশ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। ওইদিন ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়ার পর পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে পরীক্ষার পর রোহিঙ্গাদের ডাটাবেজের সাথে অহিদার ফিঙ্গার প্রিন্ট মিলে যায়। এতে রোহিঙ্গা নারী সনাক্ত হওয়ার পর পাসপোর্ট অফিসে রোহিঙ্গা নারীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাকে পাঁচলাইশ থানায় সোপর্দ করেন। ওই ঘটনাটি অনুসন্ধান করে দুদক জানতে পারে পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে রোহিঙ্গা নারীকে জন্মসনদ ও পাসপোর্ট পেতে সহযোগিতা করা হয়েছে। পাসপোর্ট আবেদনে আশরাফ আলী রোডের বাসিন্দা মো. ইসমাইল ও মেহেরজানকে পিতা-মাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সিরাজুল ইসলামও রোহিঙ্গা নাগরিক। তিনি রোহিঙ্গা নারীদের বাংলাদেশী জন্ম নিবন্ধন ও পাসপোর্ট পেতে সহযোগিতা করেন। আর তাদের জন্ম নিবন্ধন দিয়েছেন ৩৪নং ওয়ার্ডের ওই সময়ের কাউন্সিলর ইসমাইল বালি ও অফিসের জন্মসনদ নিবন্ধনকারী সুবর্ণ দত্ত। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর দুদক প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হলে ঘটনাটিতে মামলার অনুমোদন দেয় দুদক কমিশন। এরপর গতকাল সোমবার মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার বাদী মো. শরীফ উদ্দিন দৈনিক আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আমাদের আমাদের