নগরীর ডবলমুরিং থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা বন্দর–পতেঙ্গার সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফকে চান্দগাঁও থানার দুটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গতকাল রোববার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর এ আদেশ দেন। এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রিজন ভ্যানে করে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এম এ লতিফকে আদালতে হাজির করে চান্দগাঁও থানার উক্ত দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ চেয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. মফিজ উদ্দিন আজাদীকে বলেন, চান্দগাঁও থানার পৃথক দুটি হত্যা মামলায় এম এ লতিফকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ চেয়ে আবেদন করা হলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্র জানায়, ছাত্র আন্দোলনের সময় ১৮ জুলাই ও ৪ আগস্ট গুলিতে নিহত হন সায়মান ওরফে মাহিন ও ফজলে রাব্বি নামে দুই যুবক। চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাট মোড়ে সংঘর্ষে তারা নিহত হন। এ ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়। দুই মামলাতেই এম এ লতিফ এজাহারভুক্ত আসামি। ছাত্র আন্দোলনের সময় ডবলমুরিং থানা এলাকায়ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অনেকে আহত হন। এর মধ্যে এরশাদ নামে আহত এক ব্যক্তি ডবলমুরিং থানায় এম এ লতিফসহ অনেকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় ১৭ আগস্ট বায়েজিদ এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তখন থেকে তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।