সাবেক এমপি বদির সন্তান দাবি ২৬ বছরের যুবকের

আদালতে ডিএনএ টেস্টের আবেদন

কক্সবাজার প্রতিনিধি | সোমবার , ১৪ ডিসেম্বর, ২০২০ at ১০:১৭ অপরাহ্ণ

উখিয়া-টেকনাফের আলোচিত-সমালোচিত সরকার দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি ফের আলোচনায় এলেন তার সন্তান দাবি করে মো. ইসহাক (২৬) নামের এক যুবকের আদালতে আবেদনের পর।
দেখতে প্রায় ‘হুবহু’ বদির মতোই চেহারার এ যুবকটি গতকাল রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) তার পিতৃপরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য ‘পিতা-পুত্রের’ ডিএনএ টেস্টের আবেদনও জানান টেকনাফ সহকারী জজ আদালতে। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।
আবদুর রহমান বদির সন্তান দাবি করে আদালতে দায়ের করা বাদীর অবেদনে বলা হয়, তার মায়ের নাম সুফিয়া খাতুন। ১৯৯২ সালের ৫ এপ্রিল কালেমা পড়ে তার মাকে বিয়ে করেন আবদুর রহমান বদি। তাদের বিয়ে পড়ান আবদুর রহমান বদিদের পারিবারিক আবাসিক হোটেল নিরিবিলিতে ঐ সময়ে কর্মরত মৌলভী আবদু সালাম। বিয়ের সাক্ষী ছিলেন হোটেলের দারোয়ান এখলাছ।
তার গর্ভধারিণী মায়ের কাছেই শুনেছেন তার পিতা আবদুর রহমান বদি। মায়ের হাত ধরে অসংখ্যবার পিতার কাছেও গিয়েছিলেন তিনি। পিতা আবদুর রহমান বদি তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে আদর করেছেন, মাথায় হাত বুলি দিয়ে ‘দোয়া’ করেছেন এবং লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন বলে দাবি ঐ যুবকের।
আদালতের আবেদনে বাদী আরো দাবি করেন, কিন্তু পিতা আবদুর রহমান বদি তার রাজনৈতিক শত্রু ও সামাজিক অবস্থানসহ নানা সমীকরণ দেখিয়ে মায়ের কাছে সময় নেন। তার মাও স্বামীর (আবদুর রহমান বদি) কথার অবাধ্য হননি। তাই তার মা সুফিয়া খাতুন এতদিন নিশ্চুপ ছিলেন কিন্তু মায়ের ও পুত্রের বয়স বাড়ার কারণে পিতৃত্বের প্রয়োাজনীয়তা উপলব্ধি করেন পুত্র। বিষয়টি নিয়ে মা-ছেলে আবদুর রহমান বদির ছোট বোন শামসুন নাহারের সাথে যোগাযোগও করেন। তারা ঘরোয়াভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টাও করেন কিন্তু আবদুর রহমান বদি কৌশলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন এবং এখন তিনি সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে অনন্যোপায় হয়ে পিতৃত্বের দাবিতে বাদী যুবকটি আদালতের দ্বারস্ত হয়েছেন।
অভিযোগ সম্পর্কে সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটাই না করে আজ সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টা ৫৮ মিনিটের সময় এ প্রতিনিধিকে পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘তোমাদের সমস্যা কোথায়?’ ঘটনা সত্য, না মিথ্যা; এ সম্পর্কে বার বার প্রশ্ন করা হলেও একই উত্তর দেন তিনি।
আবদুর রহমান বদিকে ইয়াবা কানেশনের অভিযোগে গত নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। তার স্ত্রী শাহিন চৌধুরী উখিয়া-টেকনাফের বর্তমান এমপি। তবে বর্তমান এমপি ছাড়াও তার আরো স্ত্রী থাকার অভিযোগ রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিএনজি অটোরিকশা নিয়ে ছিনতাই
পরবর্তী নিবন্ধসাতকানিয়ায় চট্টগ্রামগামী বাস থেকে মাদক বিক্রেতা গ্রেপ্তার