সাবেক এমপি বদির মামলায় সাক্ষ্য দিতে এলেন না বাদী

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১২ মে, ২০২২ at ১০:৪৩ পূর্বাহ্ণ

সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন মামলার বিচার শুরুর ২০ মাস পরও সাক্ষ্যগ্রহণ আরম্ভ হয়নি। গতকাল সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য থাকলেও তা হয়নি। মামলার বাদী ও এক নম্বর সাক্ষী দুদক কর্মকর্তা মো. আব্দুল কালাম আজাদ হাজির না হওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে। এ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো পেছাল এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ।

আদালত সূত্র জানায়, গতকাল ১১ মে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য এ মামলায় তারিখ ছিল। এ জন্য আদালতের (চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত) বিচারক, আসামিসহ সংশ্লিষ্ট সবাই উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন না শুধু দুদক কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ।

এ বিষয়ে দুদক পিপি কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু আজাদীকে বলেন, গত ধার্য তারিখে সাক্ষী মো. আবুল কালাম আজাদ আদালত কক্ষে হাজির ছিলেন। তবে অসুস্থতা অনুভব করায় সাক্ষ্য দিতে পারেননি। আজকেও (গতকাল) সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তিনি হাজির ছিলেন না। কেন হাজির ছিলেন না তাও আমাদের জানাননি। তিনি বলেন, বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন না হওয়ায় অন্য সাক্ষীদেরও সাক্ষ্যগ্রহণ সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে জানতে চাইলে আদালতের পেশকার মো. মুছা বলেন, চার্জগঠন পরবর্তী মামলার বাদী মো. আবুল কালাম আজাদকে সমন দেয়া হয়। হাজির না হলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু হয়। আজকেও (গতকাল) তার বিরুদ্ধে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে। বর্তমানে দুদক, প্রধান কার্যালয়ে উপপরিচালক পদে কর্মরত থাকা এ কর্মকর্তা বর্তমানে অসুস্থ আছেন এমনটা শুনেছি বলেও জানান আদালতের এ কর্মকর্তা।

আদালত সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের ২৪ জুন জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের এ মামলায় আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল হয়। এর এক যুগ পর গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর চার্জগঠনের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়। চার্জশিটে সাক্ষী হিসেবে রাখা হয় ৪১ জনকে। ২০০৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর নগরীর ডবলমুরিং থানায় কক্সবাজার জেলার টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও দখলে রাখার অভিযোগে মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বদি, স্ত্রী শাহীন আকতার ও মেয়ে সামিয়া রহমানের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ মোট ১ কোটি ১১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৭৭ টাকা। কিন্তু দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ও ২০০৬ থেকে ২০০৭ কর বর্ষের রিটার্নে বদি যথাক্রমে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছেন ৫৬ লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকা ও ৩১ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮০ টাকা। সে হিসেবে বদি সর্বমোট ৭৯ লাখ ৩৭ হাজার ৭৯৭ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। যা তিনি অবৈধ উপায়ে অর্জন করেছেন। আইন অনুযায়ী এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআগের দামে কেনা সয়াবিন বেশি দামে বিক্রি
পরবর্তী নিবন্ধঅশনির ‘শনি’ কেটে গেছে