রাউজানের সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরী, তার জ্যেষ্ঠ পুত্র ফারাজ করিমসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের রাউজান নোয়াজিশপুর দলইনগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। মামলার বাদি দুই হাজার ১৯ সালে তবলীগ কমিটির অফিস ভাঙচুর, টাকা লুটপাটের অভিযোগ করেন আসামিদের বিরুদ্ধে।
এই মামলায় সংসদ সদস্য ও তার পুত্রসহ যাদের আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে আছেন– রাউজান পৌরসভার সাবেক মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, ফারাজ করিম চৌধুরী, গহিরা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাশি, জাকির হোসেন জুনু, ফখরুল আবেদীন সোহেল, সাইদুল ইসলাম মনছুর ওরফে বালু মনছুর, মো. আজম, মো. কুতুব উদ্দিন, এসনাদুল করিম সায়েম, মো. সিরাজ, মো. নেজাম, উত্তম চৌধুরী, শিহাবুল আলম সাহাবু, জাগির, খোরশেদ, কামরুল ইসলাম বাকের, আবু সালেক, আবুল হায়াত ওরফে মিজান, সালাউদ্দিন, বখতেয়ার, মো. জাগির, হাবিব, সোহেল ওরফে ট্যারা সোহেল, শাবলু, শামসুল আলম, মো. বখতিয়ার, মো. ওয়াহেদুল আলম পলাশ, আহসান হাবীব হাসান, আবদুল্লাহ আল মাসুদ, কাজী মো. ইকবাল, বশির উদ্দিন খান, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মো. আরিফ, আনোয়ার হোসেন, আকতার হোসেন, ফরহাদুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মামুন, জসিম উদ্দিন, কাজী ওহাব, শাহাজান ইকবাল, মো. হাসানসহ অজ্ঞাত আরো ২০–২৫ জন।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয় ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল বিকাল ৪টায় দেশীয় পিস্তল, দেশীয় ধারালো অস্ত্র, হকিস্টিক, চাইনিজ কুড়াল ইত্যাদি নিয়ে মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির অনুসারীদের ওপর হামলা চালিয়ে জখম করা হয়।
পরে মাহফিলের জন্য রাখা ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ও এতিম শিক্ষার্থীদের জন্য উত্তোলিত দানবঙ থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লুট করে। এছাড়া এতিমখানার তিনটি এসি, একটি ল্যাপটপ, একটি কালার প্রিন্টার, তিনটি আলমিরা, আইপিএস, সাউন্ড সিস্টেমসহ প্রায় ৮ লক্ষ টাকার বিভিন্ন সরঞ্জাম লুট করে ট্রাকযোগে নিয়ে যায়। লুটে নেয়া হয় ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দামের লোহা, সিমেন্টসহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী। আসামিদের তাণ্ডবে প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়। অভিযোগ করা হয়– ঘটনার পর মামলা করতে গেলে ক্ষমতাসীন হওয়ায় সেসময় মামলা নেয়নি পুলিশ।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত শুক্রবার মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।