সাবেক ইসি মাহবুব তালুকদারের ইন্তেকাল

| বৃহস্পতিবার , ২৫ আগস্ট, ২০২২ at ৫:১৬ পূর্বাহ্ণ

সাবেক নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন)। ৮০ বছর বয়সী এই লেখক ও সাবেক আমলা ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল বুধবার দুপুরে সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে তার মেয়ে আইরীন মাহবুব জানান। তিনি বলেন, বাবা আর নেই। দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার আক্রান্ত ছিলেন। অন্য আরও রোগেও ভুগছিলেন। আজ (বুধবার) সকালে উনার শারীরিক অবস্থার খুব অবনতি হয়। ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়। দুপুর ১টার দিকে উনি মারা যান। খবর বিডিনিউজের।
২০১৭-২০২২ মেয়াদে কেএম নুরুল হুদার কমিশনে নির্বাচন কমিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মাহবুব তালুদকার ইসির কাজেরই সমালোচক হিসেবে আলোচনায় এসেছেন বার বার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময় সহকারী প্রেস সচিবের (উপসচিব) দায়িত্ব পালন করেন মাহবুব তালুদকার। একসময় তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকও ছিলেন। তার তিন সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে ঢাকায় বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকেন। বাকি দুজন থাকেন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়। আইরীন মাহবুব জানান, তার বাবার জানাজা হবে গুলশানের আজাদ মসজিদে। দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে পারিবারিকভাবে।
মাহবুব তালুকদারের জন্ম ১৯৪২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলায়। তার স্ত্রীর নাম নীলুফার বেগম। দুই মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে তাদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষ করে তখনকার জগন্নাথ কলেজ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্থাপত্য বিভাগ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে শিক্ষকতা করেন মাহবুব তালুকদার।
১৯৭১ সালে তিনি মুজিবনগর সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ে যোগ দেন। সেসময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে রাষ্ট্রপতি আবু সাঈদ চৌধুরী তাকে উপসচিবের পদমর্যাদায় রাষ্ট্রপতির স্পেশাল অফিসার নিযুক্ত করেন। এরপর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সময়ে তার পাবলিক রিলেশনস অফিসার ছিলেন মাহবুব তালুকদার।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিলে তার সহকারী প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালন করেন মাহবুব। তখনই তিনি ক্যাডার সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত হন, যা পরে বিসিএস প্রশাসন হিসেবে রূপান্তরিত হয়। একসময় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করা মাহবুব তালুকদার ১৯৯৯ সালে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে অবসরে যান।
সাবেক এই আমলা লেখালেখিও করতেন নিয়মিত। কবিতা, গল্প, উপন্যস, স্মৃতিকথা, ভ্রমনকাহিনী মিলিয়ে তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৪০টি। সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান মাহবুব তালুকদার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচান্দগাঁওয়ে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করল সিডিএ