সাধনপুরে সড়ক দুর্ঘটনা, প্রাণ গেল কলেজ শিক্ষার্থী ও শিশুর

বাঁশখালী ও মহেশখালী প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১৭ অক্টোবর, ২০২৪ at ৪:২০ পূর্বাহ্ণ

বাঁশখালী সাধনপুরের বাণীগ্রামে যাত্রীবাহী সিএনজি টেক্সি ও গ্যাসবাহী কার্গো ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক শিশু ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর ১টায় চট্টগ্রামবাঁশখালী সড়কের সাধনপুর ইউনিয়নের পূর্ব বৈলগাঁও এলাকায় দমদম দীঘি ও বাইন্যার দীঘির মাঝামাঝি স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় সিএনজি টেক্সির চালকসহ আরও পাঁচ যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন, মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলা বড়ুয়া পাড়ার মালয়েশিয়া প্রবাসী সৈকত বড়ুয়ার শিশু কন্যা রশ্মি বড়ুয়া () ও মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়নের কেরুনতলী নয়া পাড়া গ্রামের সৌদিয়া প্রবাসী নুরুল ইসলাম প্রকাশ টুনুর পুত্র ওয়াসিফ রায়হান (১৮)

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত এবং আহতদের পারিবারিক সূত্র জানায়, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে নতুন ব্রিজ মইজ্জ্যারটেক থেকে ওয়াসিফ রায়হান, মায়ের সঙ্গে শিশু রশ্মিসহ ছয়জন যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজি টেঙি বদরখালীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। গাড়িটি বেলা ১টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার ২ নম্বর সাধনপুর ইউনিয়নের পূর্ব বৈলগাঁও এলাকায় পৌঁছালে বদরখালী থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী ফিলিং স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ কাজে নিয়োজিত ট্যাংক বহনকারী লরীর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় সিএনজি টেঙিটি দুমড়ে মুছড়ে যায়। এতে ওয়াসিফ রায়হান ও শিশু রশ্মি ঘটনাস্থলে প্রাণ হারায়। এ ঘটনায় চালকসহ অপর চার যাত্রী গুরুতর আহত হন।

আহতরা হলেন, নিহত রশ্মি বড়ুয়ার মা প্রিয়ন্তি বড়ুয়া (২৩), হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য গোলাম কুদ্দুস (৬৮), সিএনজি চালক বদরখালীর মো. জাবেদ (২৫)। অপর দুই যাত্রীর নাম তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলা জানায় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র।

জানা যায়, নিহত রশ্মি বড়ুয়া তার মায়ের সঙ্গে মহেশখালীর দাদুর বাড়িতে প্রবারণা উৎসবে যোগ দিতে যাচ্ছিল। ওয়াসিফ রায়হান চট্টগ্রাম মুরাদপুর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এনআইটি) ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি ক্লাস শেষ করে একই গাড়িতে মহেশখালী ফিরছিলেন। ওয়াসিফ মহেশখালীর পানিরছড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২৪ সালে এসএসসি পাশ করে।

দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রামদাশ মুন্সিরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নুরুল হক হাওলাদার জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা নিহতদের লাশ উদ্ধার করি এবং আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ঘাতক ট্রাককে জব্দ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাঁশখালী সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে চললেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সরু সড়কে অতিরিক্ত গাড়ির চাপে এবং লাইসেন্সবিহীন চালকের কারণে এ ঘটনা ঘটছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধওয়ান ব্যাংকের পরিচালক সাঈদ ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
পরবর্তী নিবন্ধআ. লীগ কাকে জাতির পিতা বলল, সেই ধারাবাহিকতা থাকবে না : নাহিদ