এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক (বর্তমান গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক) খাতুনগঞ্জ শাখার ২০ কোটি ৫২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শিল্পগ্রুপ সাদ–মুসা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ মোহসিন ও তার স্ত্রী শামীমা নারগিস চৌধুরী এবং ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী ও সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। গতকাল রোববার দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিলকিস আক্তার বাদী হয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১–এ মামলাটি দায়ের করেন। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম–১ এর উপ–পরিচালক সুবেল আহমেদ দৈনিক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক পরিচালক বেলাল আহমেদ, গোলাম মোহাম্মদ, ডক্টর মোহাম্মদ ফারুক, আরিফ আহমেদ, ওসমান গণি, মায়মুনা খানম, সরোয়ার জামান মালেক, মোহাম্মদ মোস্তান বিল্লাহ আদিল, শাহানা ফেরদৌস, সাজেদা নূর বেগম, বোরহানুল হাসান চৌধুরী, সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দৌলা, এস এ এম সলিমউল্লাহ, ক্রেডিট ডিভিশনের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম সারওয়ার, সাবেক এসভিপি অ্যান্ড অফ ক্রেডিট মোহাম্মদ মাহমুদ আলম, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাজী মশিউর রহমান জাদেদ, খাতুনগঞ্জ শাখার এসএভিপি অ্যান্ড ম্যানেজার মো. শামসুল আলম, এসপিও অ্যান্ড ম্যানেজার অপারেশন মুন্নশ্রী চক্রবর্তী, প্রিন্সিপাল অফিসার মো. হাসান আলী, জুনিয়র অফিসার রিফাত ইফতেখারুল আলম ও ক্রেডিট ডিভিশনের মো. মিজানুর রহমান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর মাহমুদ সাজিদ কটন মিলসের নামে স্বল্পমেয়াদী ঋণ সুবিধার জন্য আবেদন করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাদ–মুসা গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ মোহসিন। উক্ত আবেদনের মাত্র ৫ দিনের মধ্যে ২৫ কোটি টাকা ঋণ বোর্ড কর্তৃক অনুমোদন করা হয়। এ ঋণ অনুমোদনের আগে গ্রাহক মোহাম্মদ মোহসিনের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা যাচাই করা হয়নি। তার কাছ থেকে কোনোরূপ সহায়ক জামানত পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়নি।
এজাহারে আরো বলা হয়, নানা কার্যক্রম সম্পাদনের মাধ্যমে বিতরণকৃত ঋণের মধ্য থেকে আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে অসৎ ও প্রতারণার উদ্দেশ্যে একে অন্যের সহায়তায় ২০ কোটি ৫২ লাখ ৯৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।