চট্টগ্রাম–১৫ (সাতকানিয়া–লোহাগাড়া) আসনে নাজমুল মোস্তফা আমিনকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করায় আবারো সড়ক অবরোধ করেছে বঞ্চিত পক্ষের লোকজন। গতকাল শনিবার রাতে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়া অংশের মিঠার দোকান এলাকায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মুজিবুর রহমানের অনুসারীরা মশাল মিছিল এবং গাছের গুঁড়ি ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। এসময় সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে যাত্রী ও সাধারণ পথচারীরা ভোগান্তির শিকার হয়। পরে প্রশাসন ঘটনাস্থলে এসে অবরোধকারীদের সরিয়ে দিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। আন্দোলনকারীদের দাবি প্রার্থী পরিবর্তন করে মুজিবুর রহমানকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করতে হবে। অন্যথায় আন্দোলন চলবে।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম–১৫ আসনে নাজমুল মোস্তফা আমিনকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। নাজমুল মোস্তফা আমিনকে প্রার্থী ঘোষণা করায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মুজিবুর রহমানের অনুসারীরা ওইদিন রাতে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়ার কেরানীহাট ও ঠাকুরদীঘির পাড় এলাকার মশাল মিছিল এবং সড়কে গাছের গুঁড়ি ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে। এসময় তারা মুজিবুর রহমানকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানায়। এদিকে, গতকাল রাতে মুজিবুর রহমানের অনুসারীরা সড়কের ছদাহা মিঠার দোকান এলাকায় গাছের গুঁড়ি ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। হঠাৎ করে সড়ক অবরোধ করায় দুই দিকে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। প্রার্থী ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সড়ক অবরোধের বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মুজিবুর রহমান জানান, সাতকানিয়া–লোহাগাড়ার বিএনপির নেতা–কর্মীরা নাজমুল মোস্তফা আমিনকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মেনে নিতে পারছে না। দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা–কর্মীরা তাকে ভালো করে চিনেও না। ফলে নেতা–কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে সড়ক অবরোধ করছে। আমি তাদেরকে আন্দোলন করতে নিষেধ করেছি। কিন্তু তারা থামছে না। তিনি আরো জানান, নাজমুল মোস্তফা আমিন একসময় শিবিরের রাজনীতি করতো। বিএনপিতে এসেছে বেশি দিন হয়নি। এছাড়া দলে তার উল্লেখযোগ্য কোন অবদান নাই।
চট্টগ্রাম–১৫ আসনের বিএনপি প্রার্থী নাজমুল মোস্তফা আমিন জানান, আমি মুজিবুর রহমানকে দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলে মনে করি। তিনিও মনোনয়ন চেয়েছিলেন। দল আমার অবদানের মূল্যায়ন স্বরূপ আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। তিনি কার উপর কি জন্য রাগ করেছে তাও আমি জানিনা। তবে যারা রাস্তায় ব্যারিকেড দিচ্ছে তাদের মধ্যে আমাদের দলের কেউ নাই। বিভিন্ন লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারলাম সড়কে ব্যারিকেড প্রদানকারীরা অন্য দলের। তাদেরকে ভাড়ায় এনে রাস্তায় নামিয়ে দেয়া হয়েছে। আর দলের জন্য আমার কি অবদান আছে সেটা হাইকমান্ড ও জেলা পর্যায়ের নেতার ভালো জানেন। সড়ক অবরোধ শৃঙ্খলা পরী পন্থী কাজ বলে মনে করি। দোহাজারি হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন চৌধুরী জানান, বিএনপি নেতাকর্মীরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিল। দোহাজারি হাইওয়ে পুলিশ এবং সাতকানিয়া থানা পুলিশ গিয়ে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয়ার পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে এর আগে সড়কে গাছের গুঁড়ি ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করায় যানবাহন চলাচল কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল।











