সাতকানিয়ায় ফুটবল খেলার বিরোধকে কেন্দ্র করে বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
এসময় এক পক্ষের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
গত শনিবারে অনুষ্ঠিত একটি ফুটবল খেলার বিরোধকে কেন্দ্র করে রবিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার আমিলাইষ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শনিবার আমিলাইষ ব্যাংক মাঠে একটি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। ফুটবল খেলা চলাকালে আমিলাইষ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এইচএম হানিফের সমর্থকের সাথে সাবেক চেয়ারম্যান সারোয়ার উদ্দীন চৌধুরীর এক সমর্থকের ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে মাঠে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হয়।
এদিকে রবিবার বিকেলে আমিলাইষ ইউপি চেয়ারম্যান এইচএম হানিফের পক্ষের লোকজন চেয়ারম্যানের অফিস এলাকায় অবস্থান করছিল। এসময় সাবেক চেয়ারম্যান সারোয়ার উদ্দীন চৌধুরীর সমর্থকরা সেখানে গিয়ে ফুটবল খেলার বিরোধের কথা উল্লেখ করে গালিগালাজ করে।
এসময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে সারোয়ার উদ্দীন চৌধুরীর পক্ষের লোকজন গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন আহমদ নাসিম (২৮), একই এলাকার জাহেদুল ইসলাম (২৫), স্থানীয় দোকানদার কায়সার উদ্দিন (৩০), পারভেজ উদ্দিন সুজন (২০), জলিল হোসেন (৪৫), মো. জাকারিয়া (৪৭), সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক শহীদুল ইসলাম (২৩) ও শাহাদাৎ হোসেন (২২)। এছাড়াও আমিলাইষ বাজারে আসা স্থানীয় আরো ৭/৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে এবং বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় এলাকায় লোকজনের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয়।
আমিলাইষ ইউপি চেয়ারম্যান এইচএম হানিফ জানান, শনিবার ফুটবল খেলার তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাবেক চেয়ারম্যান সারোয়ার উদ্দীন চৌধুরীর লোকজন রবিবার আমার পক্ষের লোকজনের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তারা গুলি চালায়।
এসময় আমার পক্ষের ৬/৭ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
আমিলাইষ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সারোয়ার উদ্দীন চৌধুরী বলেন, “এলাকায় মারামারি হয়েছে বলে শুনেছি কিন্তু কারা কাকে মেরেছে সেই বিষয়ে জানি না। আর এলাকায় আমার কোনো গ্রুপ নাই। আমি গ্রুপিংয়ের রাজনীতি করি না। আর এখানে আমাকে জড়িয়ে কেন এসব কথা বলছে তা বুঝতে পারছি না।”
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “সাবেক এবং বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের বিরোধের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার এলাকায় হুমকি-ধমকি দেয়ায় রবিবার এ অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘটিত হয়। এতে ছোড়া গুলিতে ৬/৭ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ কিংবা মামলা দায়ের করেনি।”