সাতকানিয়ায় ছয় দিনে দুই আওয়ামী লীগ নেতা খুন হয়েছেন। নিহতরা হলেন- সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কেঁওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হক মিঞা ও খাগরিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল উদ্দিন।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও নিহতদের স্বজনরা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত বুধবার রাতে উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ খালী গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মৃত আবদুল করিমের ছেলে ও ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল উদ্দিনকে তৈয়ার পাড়ার বটতল এলাকায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়। খাগরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য মো. লিয়াকত এবং সাবেক ইউপি সদস্য আবদুস ছালামের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্রিক বিরোধের জেরে মূলত বেলালকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশ ও নিহতের পরিবারের। এ ঘটনায় নিহত আওয়ামী লীগ নেতা মো. বেলাল উদ্দিনের স্ত্রী শিরিন বেগম বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতোমধ্যে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে গতকাল সোমবার সকালে নিজের বসতঘরের শয়ন কক্ষ থেকে উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল হক মিঞার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি জনার কেঁওচিয়া চেয়ারম্যান পাড়ার উকিল বাড়ির মৃত কাছিম আলী উকিলের পুত্র এবং সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা। মাত্র ছয়দিনের মধ্যে দুজন আওয়ামী লীগ নেতা খুন হওয়ার ঘটনায় ভাবিয়ে তুলছে সবাইকে। যদিও এ দুইটি হত্যাকাণ্ডের সাথে এখনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন জানান, মূলত এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান ও সাবেক দুই ইউপি সদস্যের বিরোধের জের ধরে খাগরিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা বেলালকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে গতকাল সকালে বসতঘরের শয়ন কক্ষ থেকে কেঁওচিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল হক মিঞার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত চেয়ারম্যানের এক কর্মচারীকে থানায় ডেকে আনা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত এবং গ্রেপ্তার করতে পারব।