শঙ্খ নদী থেকে বালি উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সাতকানিয়ার চরতী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড উত্তর তুলাতলী গ্রামে কৃষকদের ওপর গুলির ব্যাপারে সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত ডিআইজি মো. জাকির হোসেন খান।
আজ সোমবার (৪ অক্টোবর) সকালে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মামলার বাদী, আহত কৃষক ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন।
পরিদর্শনের সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “এ এলাকায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর যে ঘটনা ঘটেছে তার ব্যাপারে নিয়মিত মামলা হয়েছে। এখানে মারামারির কারণটা কী ছিল এই বিষয়টা দেখার জন্য এসেছি। ওইদিন কারা গুলি করেছে, কী কারণে করেছে তার তদন্ত হচ্ছে।”
এ ঘটনার জের ধরে স্থানীয় কৃষকদের কেউ হুমকি দিয়ে থাকলে সেই ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান তিনি।
পরিদর্শনের সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) জাকারিয়া রহমান জিকু, সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন, চরতী ইউপি চেয়ারম্যান ডা. মো. রেজাউল করিম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে শঙ্খ নদী থেকে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে কৃষকদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জনের অধিক কৃষক, ছাত্র ও এলাকাবাসী আহত হয়।
জামায়াতের সাবেক নেতা মুমিনুল হক চৌধুরীর পুত্র মো. রুহুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয় বলে গুলিবিদ্ধ আহত কৃষকরা জানান।
এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বালি উত্তোলনের স্থান পরিদর্শনে আসার খবরে শত শত এলাকাবাসী বৃহস্পতিবার সকালে শঙ্খ নদীর পাড়ে জড়ো হয়েছিলেন।
এদিকে, সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে আহত আবদুল মালেক বাদী হয়ে মো. রুহুল্লাহ চৌধুরীকে প্রধান আসামী করে সাতকানিয়া থানায় ১টি মামলা দায়ের করেন গত শুক্রবার রাতে।
মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং আরো ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়।
এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো হাবিবুর রহমান (৩১), শাহিন আলম (২৩), জয়নুল (২৭), জহিরুল ইসলাম (২৩)।
গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই বালি উত্তোলনের জন্য আনা ড্রেজারের শ্রমিক বলে জানা গেছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে সাতকানিয়া থানা পুলিশ।