সাতকানিয়ায় ১৬ ইউনিয়নে প্রশাসক নিয়োগ, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধকের দায়িত্বে কর্মকর্তারা

সাতকানিয়া-লোহাগাড়া প্রতিনিধি | বুধবার , ২৮ আগস্ট, ২০২৪ at ৯:০৭ অপরাহ্ণ

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ১৭ টি ইউনিয়ন (ইউপি) পরিষদের মধ্যে ১৬ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আত্মগোপন ও অনুনোমোদিত অনুপস্থিত থাকায় ওই ইউনিয়নগুলোতে উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাকে ইউপি প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

নিয়োজিত কর্মকর্তারা স্ব-স্ব ইউনিয়নের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধকের দায়িত্ব পালন করবেন।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

১৬টি ইউনিয়নে দায়িত্বপ্রাপ্তরা কর্মকর্তারা হলেন, চরতী ইউনিয়ন পরিষদে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসাইন, খাগরিয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল হোসাইন, নলুয়ায় সমবায় কর্মকর্তা আবু মুহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, কাঞ্চনায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী (জনস্বাস্থ্য) মিজানুর রহমান, আমিলাইষে  ইউডিএফ বশির উদ্দীন আহমেদ, এওচিয়ায় শিক্ষা কর্মকর্তা  কৃষ্ণ লাল দেবনাথ, মাদার্শায় আইসিটি কর্মকর্তা  আনোয়ার হোসাইন, ঢেমশায় যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. সামছুদ্দীন, পশ্চিম ঢেমশায়  মৎস্য কর্মকর্তা জাকিয়া আবেদীন, কেঁওচিয়ায় উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে, কালিয়াইশে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কানেজা ফাতেমা মৌসুমী, ধর্মপুরে পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ভাস্কর প্রসাদ চৌধুরী, বাজালিয়ায় সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আনিসুল ইসলাম, পুরানগড়ে প্রকল্প কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার সরকার, সাতকানিয়া সদরে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ও সোনাকানিয়ায় কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান।

 ইউএনও স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে  জানা যায়, সম্প্রতি উদ্ভুত পরিস্থিতির ফলে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাদের কর্মস্থলে অনুমোদন ব্যতীত অনুপস্থিত রয়েছেন। ফলে জনগণ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সংক্রান্ত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে ক্ষুন্ন হচ্ছে জনস্বার্থ। তাই জনগণের সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদগুলোর জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস দৈনিক আজাদীকে বলেন, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ অনুমোদন ছাড়া তাদের কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। ফলে সাধারণ জনগণ নাগরিক সেবা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধক হিসেবে ওই ইউনিয়নগুলোতে উপজেলার কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপতেঙ্গা সাগরপাড়ে নারীর ক্ষত-বিক্ষত লাশ, জানা যায়নি পরিচয়
পরবর্তী নিবন্ধহাছান মাহমুদ ও তার মেয়েসহ ৮৩ জনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা