চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দুর্বৃত্তের হামলায় গুলিবিদ্ধসহ ৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রোববার (১ লা সেপ্টেম্বর) দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে উক্ত হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দৈনিক আজাদীকে নিশ্চিত করেছেন ঢেমশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা আসলাম সরোয়ার রিমন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা, গুলি, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগসহ নানা অভিযোগে গত ২৮ আগস্ট সাতকানিয়া থানায় দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্ত ঢেমশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা আসলাম সরোয়ার রিমনকে ঢেমশা ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধকের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে নিবন্ধক কর্মকর্তা নিয়োগ করার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে হামলা চালানোর অভিযোগ তুলেছেন মির্জা আসলাম সরোয়ার রিমন চেয়ারম্যানের মা রহিমা বেগম।।
তিনি দৈনিক আজাদীকে বলেন, মানববন্ধন চলাকালে কতিপয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা গুলি চালায় এবং বেপরোয়া মারধর শুরু করে।
এ সময় ঢেমশা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড চৌধুরী হাট এলাকার নুর হোসেনের পুত্র সাকিব (১৮) কোমরে গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
এছাড়া ৪নং ওয়ার্ডের দরবেশ পাড়ার মৃত জসিম উদ্দিনের পুত্র সাহেদের মাথা ফেটে যায়, ২নং ওয়ার্ডের নুর আহমদের পুত্র জসিম উদ্দিনের হাতও ভেঙে যায়। এছাড়াও দরবেশ পাড়ার আবদুল মাবুদের ছেলে শহীদুল ইসলাম মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হন।
ঢেমশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা আসলাম সরোয়ার রিমন দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমাকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। আমি মামলার বাদীর কাছে আমাকে কেন আসামি করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানেননা বলে জানিয়েছেন।
আমার কাছে বাদীর সাথে কথা বলার কল রেকডিং আছে। মিথ্যা মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদে আমার এলাকার নারী পুরুষ ও বৃদ্ধরা মানববন্ধনের আয়োজন করলে সেখানে হামলা চালানো হয়। মূলত প্যানেল চেয়ারম্যানকে চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসানোর জন্যই এই মামলায় আসামি হিসেবে নাম দেওয়া এবং হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমরা মানববন্ধনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। যেহেতু মির্জা আসলাম সরোয়ার রিমন নাশকতা মামলার আসামি সেহেতু তার পক্ষে মানববন্ধন করার সুযোগ নেই।
তাই আমরা মানববন্ধনের আয়োজকদের নিবৃত্ত করেছি, পুলিশের উপস্থিতিতে কোন ধরনের ঘটনা ঘটেনি, পরবর্তী ঘটনা সম্পর্কে আমরা অবগত হয়েছি। এ বিষয়ে থানায় কেউ কোন ধরনের অভিযোগ বা মামলা দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।