সাতকানিয়ায় জায়গা–জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নাম ফজল আহমদ (৫৫)। গতকাল রোববার বিকালে উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ছোট হাতিয়ার কুতুবপাড়া ও তাঁতীপাড়ার মধ্যবর্তী এলাকায় রাস্তার ধারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফজল আহমদ তাঁতীপাড়ার মৃত আলী মিয়ার পুত্র। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ আবুল কাশেম (৬০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এলাকাবাসী জানায়, ছোটহাতিয়ার কুতুবপাড়ার আবুল কাশেম এবং তাঁতীপাড়ার ফজল আহমদের মধ্যে জায়গা–জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আবুল কাশেম বিরোধীয় জমি থেকে ঘাস কাটছিলেন। এ সময় ফজল আহমদ ঘর থেকে বের হয়ে ওই জমির পাশের রাস্তা দিয়ে মির্জারখীল বাংলা বাজারে যাচ্ছিলেন। ফজল আহমদকে দেখে আবুল কাশেম গালিগালাজ শুরু করে। এক পর্যায়ে কাশেম পাশে থাকা কোদাল দিয়ে ফজল আহমদের মাথায় কোপ দেয়। এতে ফজল আহমদ ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে খবর পেয়ে সাতকানিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
এদিকে, ঘটনার পরপর সাতকানিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ নিজ বাড়ি থেকে আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত আবুল কাশেম কুতুবপাড়ার সাচি মিয়ার পুত্র।
নিহত ফজল আহমদের স্ত্রী রেহেনা আকতার জানান, আমার স্বামী একজন নিরীহ লোক। গতকাল বিকালে পায়ে হেটে বাজারে যাচ্ছিল। রাস্তায় একা পেয়ে আবুল কাশেম ও তার ছেলে তৌহিদ কোদাল দিয়ে কুপিয়ে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
সোনাকানিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন জানান, কুতুব পাড়ার আবুল কাশেম তাঁতীপাড়ার ফজল আহমদকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে শুনেছি। তবে কী কারণে হত্যা করেছে সেই বিষয়ে কিছু জানি না।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রিটন সরকার জানান, ফজল আহমদ এবং কাশেমের মধ্যে জায়গা জমির বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল বিকালে ফজল আহমদকে রাস্তায় পেয়ে আবুল কাশেম কোদাল দিয়ে কোপ দেয়। এতে ফজল আহমদ ঘটনাস্থলে মারা যায়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।