সাত বছরে সর্বোচ্চ ফল

চট্টগ্রামে এসএসসিতে পাসের হার ৯১.১২ জিপিএ-৫ পেল ১২ হাজার ৭৯১ জন

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:০১ পূর্বাহ্ণ

এবারের (২০২১ সালের) এসএসসি পরীক্ষায় ৯১.১২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে চট্টগ্রামে। আর ১২ হাজার ৭৯১ জন শিক্ষার্থী পেয়েছে জিপিএ-৫। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের এ ফল গত ৭ বছরে সর্বোচ্চ। এবারের তুলনায় সর্বশেষ ২০১৪ সালে পাসের হার বেশি ছিল চট্টগ্রামে। যদিও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ছিল এবছরের তুলনায় কম। ওই বছর (২০১৪ সালে) এসএসসিতে পাসের হার ছিল ৯১.৪০ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পায় ১০ হাজার ৮৮৪ জন। হিসেবে ৭ বছর পর পাসের হার ফের ৯১ শতাংশের ঊর্ধ্বে উঠল চট্টগ্রামে। আর এবারের জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা গত ৮ বছরে সর্বোচ্চ।
করোনা পরিস্থিতিতে সবকয়টি বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়নি এবার। মাত্র তিনটি করে বিষয়ে পরীক্ষায় বসতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। বাকি বিষয়গুলোতে সাবজেক্ট ম্যাপিং ও জেএসসির ফলাফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। বিশেষ করে এ কারণেই করোনা পরিস্থিতির মাঝেও এমন অভাবনীয় ফল এসেছে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদ ও শিক্ষাবোর্ড সংশ্লিষ্টরা। তাছাড়া ইংরেজি ও গণিতের মত বিষয়গুলোর পরীক্ষা না হওয়াটাও অন্যতম কারণ। তবে কেউ কেউ দাবি করেছেন জেএসসির ফল বিবেচনায় নেয়ায় অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী প্রত্যাশিত ফল থেকে বঞ্চিত হয়েছে এসএসসিতে।
একদিন আগেই (২৯ ডিসেম্বর) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সচিব প্রফেসর আবদুল আলীম। প্রকাশিত এসএসসির ফলাফলের বিষয়ে তিনি বলছেন, এবার অধিকাংশ বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়নি। প্রত্যেক বিভাগে মাত্র ৩টি করে বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সার্বিকভাবে সে দিকটি বিবেচনায় রাখা হয়েছে। আর অটো পাস বা একদম পরীক্ষা না হওয়ার তুলনায় কম বিষয়ের পরীক্ষা অনেক ভাল পদক্ষেপ বলে মনে করছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর শাহেদা ইসলাম। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কিছুটা হলেও যাচাই করে দেখার সুযোগ হয়েছে। এছাড়া অটো পাশ দেয়া হলে ‘ও, অটো পাস!’ শিক্ষার্থীদেরও এমন শব্দ শুনতে হয়। এ ধরনের শব্দ থেকেও শিক্ষার্থীরা রেহাই পেল।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালে পাসের হার ছিল ৮২.৭৭ শতাংশ। ২০১৬ সালে পাসের হার বেড়ে দাঁড়ায় ৯০.৪৫ শতাংশ। পরের বছর (২০১৭ সালে) তা কমে পাসের হার দাঁড়ায় ৮৩.৯৯ শতাংশ। ২০১৮ সালে আরো কমে ৭৫.৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। তবে ২০১৯ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে পাসের হার বেড়েছে। ২০১৯ ও ২০২০ সালে পাসের হার দাঁড়ায় যথাক্রমে ৭৮.১১ শতাংশ ও ৮৪.৭৫ শতাংশ। তবে ২০২১ সালে (এবার) পাসের হার পুনরায় ৯১ শতাংশ ছাড়িয়েছে। মোট পরীক্ষার্থীর ৯১.১২ শতাংশ পাস করেছে এবার। এর আগে সর্বশেষ ২০১৪ সালে সর্বোচ্চ ৯১.৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে চট্টগ্রামে। হিসেবে ৭ বছরে চট্টগ্রামের পাসের হার পুনরায় ৯১ শতাংশের ঊর্ধ্বে উঠেছে। এদিকে, এসএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা গত ৮ বছরে এবারই সর্বোচ্চ। এবার রেকর্ড ১২ হাজার ৭৯১ জন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। কিন্তু পাসের হারে সবচেয়ে ভালো ফল হওয়া ২০১৪ সালে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ৮৮৪ জনে। ২০১৫ সালে জিপিএ-৫ পায় ৭ হাজার ১১৬ জন। ২০১৬ সালে পায় ৮ হাজার ৫০২ জন। ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৮ হাজার ৩৪৪ জন, ৮ হাজার ৯৪ জন ও ৭ হাজার ৩৯৩ জন। আর গত বছর (২০২০ সালে) জিপিএ-৫ পায় ৯ হাজার ৮ জন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৯ বোর্ডে অষ্টম অবস্থানে চট্টগ্রাম
পরবর্তী নিবন্ধতারা কেউ ডাকাতি করছেন, কেউ ডাকাতদের ধরিয়ে দিচ্ছেন!