সাত ঘণ্টায় সিএমপির ৩টি থানা ঘুরিয়ে অবশেষে হত্যাচেষ্টা মামলায় কর্ণফুলীর চরপাথরঘাটা ব্রিজঘাট সাম্পান চালক কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল হোসেন (৪০)-কে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নগরীর চান্দগাঁও থানার হত্যা চেষ্টা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ২০ আগস্ট বিকেল পাঁচটার দিকে আবুল হোসেনকে চরপাথরঘাটা খোয়াজনগর এলাকার একটি চায়ের দোকান থেকে আটক করে নগরীর কোতোয়ালী থানায় নেওয়া হয়। সেখানে ২–৩ ঘণ্টা আটক রাখার পর কর্ণফুলী থানা পুলিশ হেফাজতে নেয়। এসময় ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে নানা মন্তব্য করতে শুরু করেন। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, কেন তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার না দেখিয়ে থানায় আনা হলো।
পরে সেখান থেকে রাত ১টার দিকে তাকে আবার নগরীর চান্দগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়। সেখানেই তাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আবুল হোসেন চরপাথরঘাটা ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হলেও চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সদস্যপদ ফরম পূরণ করেছিলেন বলে প্রচার রয়েছে। এ ধরনের পূরণ করা ফরমের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তবে এ বিষয়ে জামায়াত নেতারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অন্যদিকে, আবুল হোসেনের পরিবার দাবি করেছে, সমপ্রতি সাম্পান সমিতির নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তারা বলেন, ‘আবুল হোসেন কখনো কারও ক্ষতি করেননি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই তাকে টার্গেট করা হচ্ছে।’
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, আবুল হোসেনকে নগরীর চান্দগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখানে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই থানা থেকে এই থানা ঘুরানোর কারণ জানতে চাইলে ওসি শরীফ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
চান্দগাঁও থানার ওসি জাহেদুল কবির জানান, কর্ণফুলী থেকে পাঠানো আসামি আবুল হোসেনকে চান্দগাঁও থানার ১৫নং হত্যা চেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।