দেশের বাজারে ডিম সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সাতটি কোম্পানিকে সাড়ে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য–১ শাখার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী দেশে প্রতিদিন প্রায় ৫ কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ও বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সাময়িকভাবে সীমিত সময়ের জন্য এ আমদানি অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭টি কোম্পানিকে ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণ ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে– ঢাকার দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর মিম এন্টারপ্রাইজকে এক কোটি; ঢাকার মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকার হিমালয়কে এক কোটি; ঢাকার শান্তিনগরের প্রাইম কেয়ার বাংলাদেশকে ৫০ লাখ; ঢাকার তেজকুনিপাড়ার জামান ট্রেডার্সকে ৫০ লাখ; যশোরের চৌরাস্তা মোড়ের তাওসিন ট্রেডার্সকে এক কোটি; সাতক্ষীরার লবশা এলাকার সুমন ট্রেডার্সকে ২০ লাখ এবং রংপুরের ভগী এলাকার আলিফ ট্রেডার্সকে ৩০ লাখ ডিম। খবর বিডিনিউজের।
অনুমতি পাওয়া কোম্পানিগুলোকে এক সপ্তাহ বাদে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। এছাড়া ডিমের প্রতিটি চালানে রপ্তানিকারক দেশের এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে ডিমের দাম লাফ দেওয়ার পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতিটি ডিমের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১২ টাকা বেঁধে দিয়েও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। পরে ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।
এরপর নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভারত থেকে ৬২ হাজার ডিমের একটি চালান আসার পর পাইকারিতে প্রতিটি ডিমের দাম তাৎক্ষণিকভাবে ৮০ পয়সা কমে গিয়েছিল। এরপর টানা দাম কমতে থাকে, এক পর্যায়ে ডজন ১২০ টাকার আশেপাশে নেমে আসে। এরপর বাড়তে বাড়তে সেই দাম ১৭০ টাকায় উঠেছে। এরমধ্যে গত ৮ সেপ্টেম্বর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২ লাখ ৩১ হাজারের কিছু বেশি ডিম এলেও তা বাজারদরে কোনো প্রভাব ফেলেনি। এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম ১১ টাকা ৮৭ পয়সা বেঁধে দেয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। তাতে প্রতি ডজন ডিম ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সায় পাওয়ার কথা থাকলেও বাজারে গুনতে হচ্ছে ১৭০ টাকা।