আত্মসমর্পণকারী সেই ইয়াবা কারবারীর মধ্যে কক্সবাজার জেলা কারাগারে থাকা ১৭ জনের মধ্যে আরও ১৪ জনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। গত ২৩ নভেম্বর আত্মস্বীকৃত ১০১ ইয়াবা কারবারীকে মাদক মামলায় দেড় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাদের মধ্যে কারাগারে থাকা ১৭ জনের সাজার বেশি হাজতবাস হওয়ায় আদালতের আদেশে রোববার সন্ধ্যায় তাদের মুক্তি দেয়া হয়। টেকনাফে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আত্মসমর্পণকারী ইয়াবা কারবারীর মধ্যে বর্তমানে ৩ জন কারাগারে এবং ৮৩ জন পলাতক রয়েছেন।
কারাগারে থাকা বাকী তিনজনকেও আজ সোমবার মুক্তি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা কারাগারের সুপার মো. শাহ আলম। তিনি বলেন, আদালত থেকে খালাস দেয়ার আদেশ পাওয়ার পর এ ১৪ জনকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। অপর ৩ জনের আদেশও হাতে এসেছে। তাদের সোমবার সকালে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে তাদের মুক্তি দেয়া হতে পারে।
তিনি জানান, গত সপ্তাহে আদালত এসব আসামিকে ইয়াবা মামলায় যে সাজাপ্রদান করেছেন, তার বেশি হাজতবাস করেছেন তারা। ফলে আদালতে জরিমানার ২০ হাজার টাকা জমা দিয়েই ছাড়া পান তারা।
কারাগার থেকে মুক্ত ১৪ জন হলেন, নুরুল হুদা, আব্দুর রহমান, ফরিদ আলম, মাহবুব আলম, রশিদ আহমেদ, মোহাম্মদ তৈয়ব, মোহাম্মদ হাশেম, আবু তৈয়ব, আলী নেওয়াজ, মোহাম্মদ আইয়ুব, কামাল হোসেন, নুরুল বশর ওরফে কালাভাই, আব্দুল করিম ওরফে করিম মাঝি, মো. সাকের মিয়া ওরফে সাকের মাঝি। কারাগারে থাকা অপর ৩ আসামি হলেন, শাহ আলম, জাফর আলম, দিল মোহাম্মদ। অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর জিয়া উদ্দিন আহমদ বলেন, আসামিদের হাজতবাস সাজার অধীনে হওয়ায় নতুন করে
তাদের সাজা ভোগ করতে হচ্ছে না।
২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আত্মসমর্পন করেন ১০২ জন আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারী ও গডফাদার। বিচার শেষে গত ২৩ নভেম্বর মামলার রায়ে ১০১ ইয়াবা কারবারীকে অস্ত্র মামলায় খালাস এবং মাদক মামলায় দেড় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় উখিয়া ও টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির ভাইসহ তার ৮ জন নিকটাত্মীয় রয়েছেন।
এ ঘটনায় পলাতক ৮৪ জনের মধ্যে মোহাম্মদ হোছাইন নামের একজন একটি হত্যা মামলায় কারাগারে রয়েছেন। পলাতক থাকা অপর ৮৩ জনকেও আদালতে আত্মসমর্পন করে এবং জরিমানা প্রদান করে খালাস আদেশ গ্রহণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
পলাতকরা হলেন, সাবেক এমপি বদির ভাই আব্দুর শুক্কুর, বদির ভাই আমিনুর রহমান ওরফে আব্দুল আমিন, দিদার মিয়া, বদির ভাগনে মো. শাহেদ রহমান নিপু, আব্দুল আমিন, নুরুল আমিন, বদির ভাই শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক, বদির ভাই ফয়সাল রহমান, এনামুল হক ওরফে এনাম মেম্বার, একরাম হোসেন, ছৈয়দ হোসেন, বদির বেয়াই সাহেদ কামাল ওরফে শাহেদ, মৌলভী বশির আহমদ, আব্দুর রহমান, মোজাম্মেল হক, জোবাইর হোসেন, নুরুল বশর ওরফে কাউন্সিলার নুরশাদ, বদির ফুপাত ভাই কামরুল হাসান রাসেল, বর্তমানে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান ওরফে জিহাদ, মোহাম্মদ শাহ, নুরুল কবির, মারুফ বিন খলিল ওরফে বাবু, মোহাম্মদ ইউনুছ, ছৈয়দ হোসেন ওরফে ছৈয়দু, মোহাম্মদ জামাল ওরফে জামাল মেম্বার, মো. হাসান আব্দুল্লাহ, রেজাউল করিম ওরফে রেজাউল মেম্বার, মো. আবু তাহের, রমজান আলী, মোহাম্মদ আফছার, হাবিবুর রহমান ওরফে নুর হাবিব, শামসুল আলম ওরফে শামশু মেম্বার, মোহাম্মদ ইসমাঈল, আব্দুল গনি, মোহাম্মদ আলী, জামাল হোসেন, আব্দুল হামিদ, নজরুল ইসলাম, মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে দানু, মোহাম্মদ সিরাজ, মোহাম্মদ আলম, মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, হোসেন আলী, নুরুল কবির মিঝি, শাহ আজম, জাফর আহমেদ ওরফে জাফর, রুস্তম আলী, মোহাম্মদ হোছাইন, নুরুল আলম, শফি উল্লাহ, মো. জহুর আলম, মোহাম্মদ হুসাইন, মোহাম্মদ সিদ্দিক, রবিউল আলম, মঞ্জুর আলী, হামিদ হোসেন, মোহাম্মদ আলম, নুরুল আমিন, বোরহান উদ্দিন, ইমান হোসেন, মোহাম্মদ হারুন, শওকত আলম, হোছাইন আহম্মদ, মোহাম্মদ আইয়ুব, মো. আবু ছৈয়দ, মো. রহিম উল্লাহ, মোহাম্মদ রফিক, মোহাম্মদ সেলিম, নুর মোহাম্মদ, বদির খালাত ভাই মং অং থেইন ওরফে মমচি, মোহাম্মদ হেলাল, বদিউর রহমান ওরফে বদুরান, ছৈয়দ আলী, মোহাম্মদ হাছন, নুরুল আলম, আব্দুল কুদ্দুস, আলী আহম্মেদ, আলমগীর ফয়সাল ওরফে লিটন, জাহাঙ্গীর আলম, নুরুল আলম, সামছুল আলম শামীম, মোহাম্মদ ইউনুচ, নুরুল আফসার ওরফে আফসার উদ্দিন ও মোহাম্মদ শাহজাহান আনছারী, মোহাম্মদ হোছাইন, নুরুল হুদা, শাহ আলম, আব্দুর রহমান, ফরিদ আলম, মাহবুব আলম, রশিদ আহমেদ, মোহাম্মদ তৈয়ব, জাফর আলম, মোহাম্মদ হাশেম ওরফে আংকু, আবু তৈয়ব, আলীনেওয়াজ, মোহাম্মদ আইয়ুব, কামাল হোসেন, নুরুল বশর ওরফে কালাভাই, আব্দুল করিম ওরফে করিম মাঝি, দিল মোহাম্মদ ও মো. সাকের মিয়া ওরফে সাকের মাঝি।