যুক্তরাষ্ট্রের আকাশ থেকে গুলি করে নামানো প্রথম কথিত চীনা নজরদারি বেলুনের সেন্সর আটলান্টিক মহাসাগর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী। শনাক্ত হওয়া ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম ও অগ্রাধিকার তালিকায় থাকা সব সেন্সরসহ ধ্বংসাবশেষের উল্লেখযোগ্য অংশ পেয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা, বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের নর্দার্ন কমান্ড। এফবিআই এখন সেসব সরঞ্জাম খতিয়ে দেখছে, যেগুলো সংবেদনশীল সামরিক স্থাপনায় নজরদারিতে ব্যবহৃত হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্র বলে এসেছে। ৪ ফেব্রুয়ারি বেলুনটি নামানোর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র আরও তিনটি অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তুকে গুলি করে নামিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
সাউথ ক্যারোলাইনার উপকূলের কাছ থেকে সোমবার ধ্বংসাবশেষের বড় অংশ উদ্ধার করা হয়েছে, বলেছেন সামরিক কর্মকর্তারা। উদ্ধার করা জিনিসপত্রের মধ্যে বেলুনটির প্রায় ৩০–৪০ ফুট দীর্ঘ অ্যান্টেনা অ্যারেও আছে বলে জানিয়েছে বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজ। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের দাবি, উঁচু দিয়ে উড়ে যাওয়া বেলুনটি চীন থেকে ছাড়া হয়েছিল আর এটি ব্যবহৃত হয়েছে নজরদারির কাজে। অন্যদিকে চীন বলছে, এটি একটি মামুলি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকারী আকাশযান, যা পথভ্রষ্ট হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়েছিল।
এটি নামানোর পর মার্কিন জঙ্গিবিমানগুলো আলাস্কা, কানাডার ইউকন অঞ্চল ও যুক্তরাষ্ট্র–কানাডা সীমান্তে অবস্থিত হুরন হ্রদের ওপর উঁচু দিয়ে উড়ে যাওয়া আরও তিনটি বস্তুকে গুলি করে নামিয়েছে। হুরন হ্রদের ওপর থাকা অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তুটিকে লক্ষ্য করে মার্কিন এফ–১৬ যুদ্ধবিমানের ছোড়া প্রথম সাইডউইন্ডার ক্ষেপণাস্ত্রটি টার্গেটে আঘাত হানতে ব্যর্থ হয়ে অজ্ঞাত একটি স্থানে বিস্ফোরিত হয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম। তবে দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি ঠিকঠাক লক্ষ্যে আঘাত হানে, বলেছে তারা। একেকটি সাইডউইন্ডার ক্ষেপণাস্ত্রের দাম ৪ লাখ ডলারের বেশি।