যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলতে গত মাসেই দেশ ছাড়েন সাকিব আল হাসান। এর মধ্যেই ছাত্র–জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশের পটপরিবর্তন ঘটেছে। দেশের এমন রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে ক্রিকেটেও। চলতি মাসে পাকিস্তান সফরের দুটি টেস্টে সাকিব খেলবেন কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। তবে সেই সংশয় দূর হয়েছে দল ঘোষণার পরই। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানান রাজনৈতিক পরিচয় দূরে ঠেলে সাকিবকে দলে নেওয়া হয়েছে মেধার ভিত্তিতেই। তিনি বলেন, ‘অনুশীলন সেশনে প্রত্যেকটা খেলোয়াড়, কোচের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। এটা অবশ্যই পরিস্থিতির আলোকে দেশকে নিশ্চিত করতেই হবে। কারণ, সাকিব আল হাসান নিশ্চিতভাবেই দেশের শীর্ষ খেলোয়াড়। এখানে নির্বাচনের (দলে রাখা) ক্ষেত্রে অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেছেন। কারণ, সে একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আমরা সেটা নিয়ে ভেবেছি। কিন্তু তার নির্বাচনটা হয়েছে মেধার ভিত্তিতে। প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেই এটা হয়। আগামীতেও মেধাটাকেই গুরুত্ব দেব।’ চোখের সমস্যা হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে সেভাবে ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি সাকিব। বিশেষ করে পেস বোলিংয়ের সামনে তার দুর্বলতা লক্ষণীয়। তাই বোলার হিসেবেই কি পাকিস্তান সফরের দলে নেওয়া হয়েছে সাকিবকে? এমন প্রশ্নে লিপু বলেন, ‘সে তার পারফরম্যান্সের আলোকেই যাচ্ছে। পারফরম্যান্স দিয়ে সাকিব নিজেকে যে জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছে, বিভিন্ন সংস্করণের ক্রিকেট, পাকিস্তানের বিপক্ষে তার রেকর্ড সবকিছু মিলিয়েই যাচ্ছে।’ ‘আমাদের চিকিৎসা বিভাগ থেকে আমরা এমন কোনো বার্তা পাইনি, যেখানে চোখের সমস্যার কারণে তাকে দলভুক্ত করা যাবে না। বিশ্ব যেখানে তাকে সেরা অলরাউন্ডারদের একজন হিসেবে স্বীকার করছে, আমিও সেই মতের সঙ্গেই আছি। গত ২৫ বছরের হিসেব করলেও সে থাকবে। (সাকিবকে) শুধু বোলার হিসেবে ধরব, সেই দুঃসাহস আমার নেই।’
বছরের শেষ পাঁচ মাসে আটটি টেস্ট খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। সবগুলো টেস্টেই খেলার নিশ্চয়তা দিয়েছেন সাকিব। লিপু বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজের সময় তার কাছে আমরা সংক্ষিপ্ত পরিকল্পনা জানতে চেয়েছিলাম। আমাদের অনেকগুলো টেস্ট ম্যাচ আছে, ডিসেম্বর পর্যন্ত আটটা টেস্ট খেলব। সেখানে সে আমাদের আশ্বস্ত করেছে, সবগুলো টেস্ট খেলবে। প্রত্যেকটা সিরিজের আগে সব অনুশীলন সেশনে থাকবে।’