দেশের দুই সেরা তারকা তামিম ইকবাল এবং সাকিব আল হাসান গতকাল প্রথমবারের মত নেমেছিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলতে। গতকালের ম্যাচে দুজন ছিল একে অপরের প্রতিপক্ষ। আর সে লড়াইয়ে সাকিব এবং তার দল লেজেন্ড অব রুপগঞ্জ জয় তুলে নিয়েছে। বল হাতে তামিমের উইকেট নিয়েছেন সাকিব। টাইগারদের ওয়ানডে অধিনায়ক ফিরেছেন ৮ রান করে। আর তার দল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব হেরেছে ৩ উইকেটে। দারুন প্রতিদ্বন্দীতাপূর্ন এই ম্যাচে ব্যাট হাতে রেকর্ড গড়েছেন প্রাইম ব্যাকের ওপেনার এনামুল হক বিজয়। গতকাল তার ব্যাট থেকে আসে ৭৩ রান। আর এক মৌসুমে বিজয় তুলে নিয়েছেন ৮৭৮ রান। বাংলাদেশের লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে কোন ব্যাটসম্যানের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এটি। আগের রেকর্ডটি ছিল সাঈফ হাসানের। ২০১৯ সালে তিনি করেছিলেন ৮১৪ রান।
গতকাল টসে হেরে ব্যাট করতে নামা প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ২৪ রানের মাথায় তামিমকে হারায়। সাকিবের বলে তানভীর হায়দারকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ৮ রান করা তামিম। এরপর এনামুল হক বিজয় একাই টেনে নিয়ে যান দলকে। অপর প্রান্তে কেবলই আসা যাওয়া করছিল বিজয়ের সতীর্থরা। দলকে ১৩৯ রানে পৌছে দিয়ে ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে যখন ফিরেন বিজয় তখন তার রান ৯১ বলে ৭৩। বিজয় আউট হওয়ার পরও অব্যাহত ছিল প্রাইম ব্যাকের ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়া। শেষ দিকে ইয়াসির আলি রাব্বি কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেরেছিল। মূলত তার ৩৭ বলে ৩৯ রানের উপর ভর করে ১৫২ রানে অল আউট হয় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। বিজয় এবং রাব্বি ছাড়া দুই অংকের ঘরে যেতে পেরেছেন কেবল ১৩ রান করা মোমিনুল। লেজেন্ড অব রূপগঞ্জের পক্ষে সাকিব, চিরাগ জেনি এবং মাশরাফি।
১৫৩ রানের সহজ লক্ষ্য। সে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও স্বস্তিতে এগুতে পারেনি লেজেন্ড অব রূপগঞ্জ। ৬ রানে প্রথম উইকেট হারানো রূপগঞ্জ নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে। মাঝখানে সাব্বির এবং সাকিব কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেনি। সাব্বির ফিরেছেন ২৬ আর সাকিব ফিরেছেন ২১ রান করে। অষ্টম উইকেট জুটিতে তানভীর হায়দার এবং মুক্তার আলি মিলে ৭০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে লেজেন্ড অব রূপগঞ্জকে জয়ের বন্দরে পৌছে দেন। ৩৯ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন তানভীর। আর ৪৫ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন মুক্তার আলি। এছাড়া চিরাগ জেনি করেন ১৪ রান। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে ২টি উইকেট নিয়েছেন রাকিবুল হাসান। ম্যাচ সেরা হয়েছেন লেজেন্ড অব রূপগঞ্জের মুক্তার আলি।