চট্টগ্রামের সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর মো. মোজাম্মেল হককে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বায়েজিদ লিংক রোডে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে উপাচার্যকে নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করেন তারা। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা দিয়ে সড়কে আন্দোলন শুরু করে কতিপয় শিক্ষার্থী। এসময় বায়েজিদ লিংক সড়কে সাময়িক যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। তবে অব্যাহতিপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক কতিপয় শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের নিয়ে জোরপূর্বক পরীক্ষা চলাকালীন ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তারা ও কর্মচারীরা প্রতিহত করেছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবি করেন।
জানা যায়, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির সুনাম, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও নিয়মতান্ত্রিক শিক্ষা কার্যক্রমকে ব্যাহত করার দায়ে সাময়িক অব্যাহতিপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর প্রকৌশলী মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ১৪টি গুরুতর অভিযোগসহ বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরে তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন সকল শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। এর আগে সুনির্দিষ্ট ১৪টি গুরুতর অভিযোগের জবাব ও তদন্তের শর্তে তাকে সাময়িক অব্যাহতি প্রদান করেন সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্ট। এছাড়া অব্যাহতিপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রকৌশলী মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এ নিয়ে মোজাম্মেল হককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ক্যাম্পাসে কয়েক দফা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী–কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। এই ব্যাপারে প্রফেসর মোজাম্মেল হক ও বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর শরীফ আশরাফুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করে সাড়া পাওয়া যায়নি।
সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার জানান, উপাচার্য প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক কতিপয় শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের নিয়ে জোরপূর্বক ক্যাম্পাসে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তারা ও কর্মচারীরা প্রতিহত করেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকতার্রা এসে কতৃর্পক্ষের সাথে আলাপ করে প্রকৌশলী মোজাম্মেল হককে বাসায় চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন এবং আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ট্রাস্টি বোর্ডের সাথে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করার অনুরোধ করেন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চলে যাওয়ার পর তিনি তাদের অনুরোধ উপেক্ষা করে গেট ভেঙ্গে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা চালান। এসময় রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তিনি জানান, প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক ক্যাম্পাসে প্রবেশে ব্যর্থ হয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।