সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে নববধূকে ধর্ষণ মামলার গ্রেপ্তার সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলামকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত। গতকাল সোমবার সিলেট মহানগর হাকিম দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. সাইফুর রহমান তাদের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন বলে জানিয়েছেন আদালত পুলিশের সহকারী কমিশনার অমূল্য কুমার চৌধুরী। তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টচার্য আসামিদের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্করকে আদালতের তোলার পর দুপুর সাড়ে ৩টায় একই আদালতে রবিউল ইসলামকেও নেওয়া হয়। তাকেও পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের সহকারী কমিশনার। খবর বিডিনিউজের। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সাথে বেড়াতে আসা ওই তরুণীকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করার ঘটনা দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় শনিবার সকালে ওই তরুণীর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় এমসি কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, অর্জুন লস্কর ও বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল ইসলাম, তারেক আহমদসহ আরো তিনজন অজ্ঞাত নামাকে আসামি করা হয়েছে।
শাহপরা থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী জানান, মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি,অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে রাজন আহমদ ও আইনুল নামের আরো দুই জনকে আটক করেছে র্যাব। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ–কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার বলেন, ওই নববধূ তার স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে ঘুরতে আসেন। এক পর্যায়ে তার স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য কলেজের গেইটের বাইরে বের হন। এ সময় ৬ থেকে ৭ জন যুবক নববধূকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে এমসি কলেজ ছাত্রাবাস এলাকায় ধর্ষণ করে। এর প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করা হয় বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।