শরীর সুস্থ রাখার দারুণ এক উপায় সাঁতার। যদি নিয়মিত সাঁতার কাটার সুযোগ থাকে এবং শারীরিক কোনো জটিলতা না থাকে তাহলে অবশ্যই সাঁতারের অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত সবার। সাঁতার অনেক প্রকার। এর মধ্যে রয়েছে বাটারফ্লাই, ব্যাকস্ট্রোক, ফ্রিহ্যান্ড উল্লেখযোগ্য। সাঁতারের মাধ্যমে অনেক উপকার হয় এমনকি বাচ্চাদেরও সাঁতার কাটা শেখা উচিত।
প্রতিদিন ২০–৩০ মিনিট সাঁতার ভবিষ্যৎ হৃদরোগের ঝুঁকি ৩০–৪০ শতাংশ কমিয়ে দেয়। সাঁতার শ্বাস–প্রশ্বাস স্বাভাবিক করে। যাদের ব্যায়ামজনিত শ্বাসকষ্ট হয়, তারাও নির্ভয়ে সাঁতার কাটতে পারেন। শরীরের বিভিন্ন অঞ্চলে রক্ত চলাচল বাড়ায় সাঁতার। সাঁতারের মাধ্যমে শরীরের সব পেশী সক্রিয়ভাবে কাজ করে। শরীরের মাংস পেশীর শক্তি বাড়ানো, পেশীর সংকোচন–প্রসারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ডায়াবেটিস রোগীদের সুস্থতার জন্য সাঁতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সাঁতার কাটা না শেখায় অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ বলছে, বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ সাঁতার না জানা। তাই সাঁতারের মতো জীবন রক্ষাকারী দক্ষতা শিশুর সুরক্ষায় খুবই প্রয়োজনীয়। চার বছর বয়স হওয়ার পর থেকে শিশুদের সাঁতার কাটা শুরু করা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
উম্মে সালমা
শিক্ষার্থী
চট্টগ্রাম কলেজ