ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া হেফাজতে ইসলামের সহিংসতা ও ওয়াজের ভিডিও মামলার আলামত হিসেবে সংগ্রহ করছে পুলিশ।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠনটির সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনায় শতাধিক মামলার অনেকগুলোর তদন্তে নেমে পুলিশ এসব আলামতকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও তাণ্ডবে কারা জড়িত এবং ঘটনার পেছনের মদদদাতাদের চিহ্নিত করতে ঘটনাস্থলের ভিডিও এবং ওয়াজ মাহফিলে দেওয়া বক্তৃতা বিশ্লেষণ করছেন তারা। তবে এরইমধ্যে সামাজিক মাধ্যমগুলো থেকে কিছু ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সে কারণে ভিন্ন পথে এগোনোর কথা বলেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পোশাল ক্রাইম ডিভিশনের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, কিছু কিছু কনটেন্ট ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে, কিন্তু কোনো লাভ নেই। ডাউনলোড করে আর্কাইভ করে রাখা হচ্ছে। ফরেনসিক পরীক্ষা করে রাখার পর সেটা শক্ত আলামত হয়ে যাচ্ছে। ‘কেউ ইউটিউব বা অন্য কোনো মাধ্যমে ছড়ালে কেউ না কেউ ডাউনলোড করে থাকে। ফলে অপরাধীর ছাড় পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও কঙবাজারে হেফাজতের নাশকতার ১৬টি মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই।