ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে নজিরবিহীন হামলা–পাল্টা হামলা যখন সংঘাত আরও বিস্তৃত রূপ নেওয়ার শঙ্কা তৈরি করেছে তখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সহজেই এ যুদ্ধ বন্ধ করা যেতে পারে। তবে একই সঙ্গে তেহরানকে মার্কিন কোনো লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করা থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করে দিয়েছেন।
এমন প্রেক্ষাপটের মধ্যে বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবর দিয়েছে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি এক পরিকল্পনায় সমপ্রতি ভিটো দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প প্রশাসনের দুই কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স এ খবর দিয়েছে। তাদের মধ্যে একজন এ বিষযে ট্রাম্পের ওই সময়ের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন রয়টার্সের কাছে। ‘ইরানিরা কি এখন পর্যন্ত কোনো আমেরিকানকে হত্যা করেছে? না, যতক্ষণ না তারা এটা করছে, ততক্ষণ আমরা কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আক্রমণের কথা ভাবছিও না’ – ট্রাম্প এমনটাই বলেছেন বলে ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন।
এদিকে গতকাল সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি লেখেন, ‘ইরান এবং ইসরায়েলের বোঝাপড়ায় আসা উচিত আর তারা সেটা করবেও।’ তার পরেই ভারত–পাক সংঘর্ষবিরতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন তিনি। জানান যে, আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য করার বিষয়টি আলোচনায় আনার পরেই ‘দুই দুর্দান্ত নেতা’ দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন এবং সংঘাত বন্ধ করেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, তার সরকারের প্রস্তাবে ভারত এবং পাকিস্তান উভয়কেই বেশ খুশি দেখাচ্ছিল।
প্রথম দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকার সময় সার্বিয়া এবং কসোভার মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে লাগাম পরিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন ট্রাম্প। এ–ও জানিয়েছেন যে, পূর্বসুরি জো বাইডেন কিছু বোকা বোকা সিদ্ধান্ত নিলেও তিনি দু’দেশের সংঘাত থামিয়ে দেবেন। ট্রাম্পের বক্তব্য, নীল নদের উপর একটি বাঁধ নির্মাণ নিয়ে সংঘাতে জড়িয়েছে মিশর এবং ইথিওপিয়া। কিন্তু তার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি এখন শান্ত হয়েছে। পরিশেষে ট্রাম্প ইরান–ইসরায়েল সংঘাত প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘অনেক ফোনালাপ, বৈঠক চলছে। আমি নিজেও অনেক কিছু করছি। কিন্তু আমি কোনও কিছুর জন্যই কৃতিত্ব নিতে চাই না। মানুষ সব বোঝে। চলুন, পশ্চিম এশিয়াকে আবার মহান করে তুলি।’