সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আবেদীন বলেছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষা এবং পার্বত্য অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন , সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি রক্ষা , সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালনা,অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ইত্যাদি কাজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সমগ্র জাতি স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। জাতির পিতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্ম হয়। একাত্তরের ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যগণ জল , স্থল ও আকাশ পথে শত্রুর বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে আক্রমণ রচনা করেছিল, যা আমাদের বিজয়কে তরান্বিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
চট্টগ্রামের জিওসি মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদীন মহান মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদের আত্মোৎসর্গের কথাও সশ্রদ্ধচিত্তে স্বরণ করেন। তিনি সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবস বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। তাই ২১ নভেম্বর আমাদের জাতির এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের কাছে একটি গৌরবোজ্জ্বল ও অনুপ্রেরণার দিন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করেছেন। তাঁরই নির্দেশনায় ‘ফোর্সেস গোল’ ২০৩০ এর আওতায় বাহিনীসমূহের জনবল বৃদ্ধি, কমান্ড সমপ্রসারণ,আধুনিক প্রযুক্তির যুদ্ধ সরঞ্জাম সংযুক্তি, যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং উন্নত আবাসন ব্যবস্থাসহ বিবিধ উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে গতরাতে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে তিন বাহিনীর পক্ষ হতে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি স্বাগত বক্তব্য রাখছিলেন।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের সংসদ সদস্যবৃন্দ, ঊর্ধতন সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ,কূটনীতিকবৃন্দ, চট্টগ্রাম অঞ্চলের সকল স্তরের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীতে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃ্ন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল এম মোজাম্মেল হক ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের এয়ার অফিসার কমান্ডিং এয়ার ভাইস মার্শাল মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান উপস্থিত থেকে সকলের সাথে শুভেচ্ছা ও কুশলাদি বিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত চট্টগ্রাম অঞ্চলের সর্বমোট ২৫৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মাঝে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের স্থির ও ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।