সলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১১টি কমিটি বিলুপ্ত

বিজয় দিবসে দুই পক্ষের মারামারি

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | বুধবার , ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

মহান বিজয় দিবসে সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণকালে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। বিজয় দিবসের দিন বেলা আড়াইটার দিকে উপজেলার ফৌজদারহাট কে এম উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় সলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. মহিউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হাসানের অনুসারীদের মধ্যে পরস্পর বিরোধী স্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে সলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১১টি কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে উপজেলা বিএনপি।

পুলিশের তথ্য মতে, ১৬ ডিসেম্বর বেলা আড়াইটার দিকে সলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. মহিউদ্দিন নেতৃত্বে তার অনুসারী নেতাকর্মীরা বিজয়ের শোভাযাত্রা নিয়ে ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করেন। এরপর তারা ফৌজদারহাট কে এম উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ফুল দেন। ফুল দেওয়া শেষে মহিউদ্দিন নেতাকর্মীদের নিয়ে ওই এলাকায় অবস্থান নেন। ঘণ্টাখানেক পর সলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হাসান অনুসারীদের নিয়ে আরেকটি শোভাযাত্রা করে শহীদ মিনারে ফুল দিতে যান। এসময় মহিউদ্দিন ও জাহিদুলের সমর্থকেরা পরস্পর বিরোধী পাল্টাপাল্টি শ্লোগান দেয়ার এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন কর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে ১৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হলেও ৭ জনকে চমেক হাসপাতালসহ নগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর সোমবার সন্ধ্যায় জাহিদুল হাসানের অনুসারী নেতাকর্মীরা মহিউদ্দিনের ঘর বাড়ি ভাঙচুর করেন।

ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সোহেল রানা বলেন, শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় মূলত উস্কানিমূলক শ্লোগান দেয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ বিষয়ে এখনও কেউ থানায় মামলা করেনি।

এদিকে এ ঘটনার পর সোমবার রাতেই উপজেলা বিএনপির জরুরি সভায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে সলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী এবং অঙ্গ সংগঠনের ১১টি কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপি ছাড়া বিলুপ্ত ১০টি কমিটি হলইউনিয়ন যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, শ্রমিক দল, তাঁতী দল, মৎস্যজীবী দল, মহিলা দল, ওলামা দল ও মুক্তিযোদ্ধা দল। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ ইউনিয়নে রাজনৈতিক সকল কর্মসূচিও স্থগিত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। গত সোমবার রাতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মো. কমল কদর এবং সদস্যসচিব কাজী মো. মহিউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী মো. মহিউদ্দিন বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরীর নির্দেশনায় ওই ইউনিয়নে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সব কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ওই ইউনিয়নের রাজনৈতিক সব কর্মসূচিও স্থগিত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনওফেলের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা, স্ত্রীকে নোটিশ জারির সিদ্ধান্ত
পরবর্তী নিবন্ধ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে নির্বাচন