রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণ করে করোনা ভাইরাসের টিকা কেনার নীতিগত প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে গতকাল বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এমনিতে অর্থমন্ত্রী এ সভায় সভাপতিত্ব করলেও তিনি দেশের বাইরে থাকায় আইনমন্ত্রী এদিন সভাপতিত্ব করেন। খবর বিডিনিউজের।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ মোস্তফা কামাল এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ভ্যাকসিন কিনতে হবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে, এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কত টাকায় টিকা কেনা হচ্ছে জানতে চাইলে আবু সালেহ বলেন, টাকা পয়সার বিষয়টি ক্রয় সংক্রান্ত প্রস্তাবে এলে আলোচিত হবে। দরপত্র ছাড়া কেন টিকা কেনা হচ্ছে জানতে চাইল অতিরিক্ত সচিব বলেন, একই সময়ে টিকা নিতে হবে। পিপিআর (সরকারি ক্রয় বিধি) অনুযায়ী এক বছরে এককালীন ৫ কোটি টাকার বেশি ক্রয় করতে গেলে বিষয়টি এ কমিটিতে আসে। এককালীন সরবরাহ নিতে হবে বলে ভ্যালুয়েশন বেশি। পিপিআর, ২০০৮ এর ৭৬ (২) বিধি অনুসরণ করে প্রস্তাবটি এ কমিটির বিবেচনার জন্য এসেছিল।
অঙফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা করোনা ভাইরাসের যে টিকা তৈরি করছে, তার তিন কোটি ডোজ কিনতে ইতোমধ্যে চুক্তি করেছে সরকার। এছাড়া গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস-গ্যাভি বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে, যা আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যেই আসতে পারে বলে সরকার আশা করছে। করোনা ভাইরাসের কার্যকর টিকা পাওয়া গেলে তা যাতে সারা বিশ্বের মানুষ পায়, তা নিশ্চিত করতে কয়েক মাস ধরে কাজ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও গ্যাভি।