ধর্ম নাকি মানুষ আগে প্রশ্ন শুধু মনের কোণে
উত্তরটা জেনে নিতে জিজ্ঞাসি জনে জনে।
পাই না জবাব মনের মতো কারও ব্যাখ্যা শুনে
ভাবছি তাই সাধক হতে যাব কোন বনে!
ধর্ম তুমি আছ নাকি মন্দির , মসজিদ, গীর্জায়
আমি তো সেথায় তোমায় খুঁজে নাহি পাই।
যখন দেখি নাবালিকা ধর্ষিতা হয় ধর্মস্থানে
কী করে বলি বলো ধর্ম তুমি আছো সেই স্থানে!
ধর্ম তুমি আছো নাকি টুপি, দাড়ি , টিকিতে
নাকি আছো শাড়ি, হিজাব,পাগড়ী, লুঙ্গি আর ধুতিতে?
আমি তো পাই না খুঁজে বাইরের সেই আবরণে
যখন দেখি হিংসা, ঘৃণা সেই পোশাকের অন্তরালে।
ধর্ম তুমি মানুষ চেনো ,নাকি মানুষ চেনে তোমায়
নাকি কেউ কাউকে না চেনেই জীবন চলে যায়?
যেদিন থেকে ধর্ম তুমি হাঁটছো শুধু কিতাবে
সেদিন থেকে হয়েই গেলে মানুষের মাঝে তফাতে
মানুষ যখন মেনে নিলো তোমার জন্ম আগে
দিলো তোমায় ভিন্ন রূপ ভিন্ন ভিন্ন ভাগে।
শ্রেষ্ঠ তুমি কোন কিতাবে খুঁজে অবোধ মানুষ
মনের মাঝে তোমায় করেনা ধারণ, বড়ই তারা অবুঝ।
সকল ধর্মের সারকথা সব একই ভাবে লেখা
সেই শিক্ষা নেয় না কেহ তাই ধর্মের পায় না দেখা।
হিংসা, ঘৃণা,লোভ-লালসা, বিদ্বেষ হানাহানি
তারপরও বলছে তারা ‘আমি ধর্ম মানি!’
ধর্ম আছে হৃদয় মাঝে জ্ঞানের আলোয় দেখো
ভুলবে বিভেদ ধর্ম যদি মনেই লালন রাখো।
ধর্মের নামে বিভাজন ধর্ম শেখায় না
ধর্ম ধর্ম করে না বুঝে শুধু পালন করো না।
লালন-পালন দুটোই করলে তবেই তুমি ধার্মিক
মানুষের তরে ধর্ম, সেটাই হৃদয় জানুক।
ভালবাসা,সত্য আর অহিংসা হলোই ধর্ম
এই সত্য মেনে করো হে মানুষ জীবনের সকল কর্ম।
তোমরা যদি ধর্ম দিয়ে মানুষে করো বিভাজন
নিজেকেই প্রশ্ন করো ঈশ্বর কি তবে নহে একজন?