বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফরে যেতে সরকারের দিক থেকে কোনো বাধা কিংবা আপত্তি নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে সেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। বিসিবি এখন ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবে সফর নিয়ে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে দুই ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গত বুধবার দুই ভাগে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। শনিবার ও সোমবার শারজাহতে হবে ম্যাচ দুটি। সূচি অনুযায়ী এরপর দুবাই থেকেই সরাসরি পাকিস্তানের যাওয়ার কথা লিটন কুমার দাসের দলের। তবে ভারত–পাকিস্তান সংঘাতের পর পাকিস্তান সফর নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। বিসিবি পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির প্রধান ইফতেখার আহমেদ জানান, ক্রিকেটারদেরকে বাধ্য করা হবে না পাকিস্তানে যেতে। সরকার সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে । এটা হলো স্টেজ ওয়ান। এরপর স্টেজ টু হলো, আমরা এখন ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলাপ করব। ওদেরকেতো আমরা জোর করতে পারি না। কারণ এটা নিরাপত্তার ব্যাপার। সরকারের দিক থেকে কনসার্ন নেই। কিন্তু ক্রিকেটারদের নিজস্ব ভাবনা থাকতেই পারে। আমরা ক্রিকেটারদের স্বাধীনতা দেব সিদ্ধান্ত নেওয়ার।
আগের সূচি অনুযায়ী পাকিস্তানে পাঁচ ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজটি শুরু হওয়ার কথা ২৫ মে। তবে সেটি পিছিয়ে যাচ্ছে নিশ্চিতভাবেই। ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধের জের ধরে স্থগিত হয়ে যাওয়া পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) আবার শুরু হচ্ছে কাল শনিবার। পরিবর্তিত সূচিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরটির ফাইনাল হবে ২৫ মে। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের জন্য তাই নতুন সূচি বিসিবির কাছে পাঠিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। সেই সূচি অনুযায়ী সিরিজ শুরু হবে ২৭ মে। বিসিবি অবশ্য তখন পিসিবিকে কোনো নিশ্চয়তা দেয়নি। বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত জানার অপেক্ষায় ছিল বোর্ড। সরকারের তরফ থেকে আপত্তি না থাকায় এখন সফরের সিদ্ধান্ত ক্রিকেটারদের ওপর। পাকিস্তান সফর নিয়ে অতীতেও ক্রিকেটারদের মতামতকেই প্রাধান্য দিয়েছে বোর্ড। এবারও এটিকেই উপযুক্ত মনে করছেন বিসিবি পরিচালক ইফতেখার। নিরাপত্তার ব্যাপারটি সবসময়ই স্পর্শকাতর। ক্রিকেটারদের যার যা ইচ্ছা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমরা কোনো কিছু চাপিয়ে দেব না বা বাধ্য করব না।