সরকারের বেঁধে দেয়া ডিম ও মুরগির দাম মানছেন না খুচরা বিক্রেতারা। ডিম ও মুরগির বাজার নিয়ন্ত্রণে গত রোববার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রতি পিস ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয় ১১ টাকা ৮৭ পয়সা। ডজন হিসেবে দাম পড়ছে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা। তবে বর্তমানে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি পিস ডিমের দাম পড়ছে ১৩ টাকা ৭৫ পয়সা পর্যন্ত। একই অবস্থা মুরগির বাজারেও। সরকার ব্রয়লার মুরগির কেজিপ্রতি দাম নির্ধারণ করে দেয় ১৭৯ টাকা ৫৯ পয়সা।
অথচ নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকায়। এছাড়া সোনালী মুরগির দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয় ২৬৯ টাকা ৬৪ পয়সা। কিন্তু বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৭৫ টাকায়। নগরীর কাজীর দেউরি ও চকবাজার কাঁচা বাজারের খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, সরকার বাজার নির্ধারণ করে দিলেও পাইকারী বাজার থেকে আমরা ওই দামে কিনতেও পারছি না। সরকার এভাবে ডিম ও মুরগির দাম নির্ধারণ করে না দিয়ে যদি খাদ্যের দাম কমিয়ে দেয়, তবে ডিম–মুরগির উৎপাদন খরচ কমে যাবে। উৎপাদন খরচ কমলে সেটি বাজারে প্রভাব পড়বে। এখন কোনো ব্যবসায়ী তো আর লোকসান দেয়ার জন্য ব্যবসা করবে না। অপরদিকে এমরান হোসেন নামের এক ক্রেতা জানান, সরকার দাম বেঁধে দিয়েছে, এখন অনেক বিক্রেতা সেটিও জানেন না। আবার যারা জানেন, তারা মানেন না। এই দাম নির্ধারণ করে দেয়ার মধ্যে আসলে ক্রেতাদের এক পয়সারও লাভ নেই। বিক্রেতারা তাদের মর্জি মতো ব্যবসা করে যাচ্ছেন। দাম নির্ধারণ করে দেয়ার চেয়েও সেই দাম মানা হচ্ছে কিনা সেটি তদারকি করা জরুরি। আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে থাকেন। সেই তুলনায় প্রশাসনের ভূমিকা তেমন একটা নেই বললেই চলে। রমজান মাসে যেভাবে বাজার মনিটরিং হয়, সেভাবে বাজার মনিটরিং করতে হবে। এখন মাঝে মাঝে বিভিন্ন তদারকি সংস্থা বাজারে অভিযান চালালেও সেগুলোর তেমন প্রভাব পড়ে না।