চিকিৎসা আমাদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু এই অধিকার বর্তমানে কেবল পাঠ্যপুস্তকের পাতায় সীমাবদ্ধ, যা আমাদের বাস্তবিক জীবনে আদায় করা বিলাসিতার শামিল। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীকে চূড়ান্ত হয়রানি, রোগীকে চিকিৎসা দিতে ডিউটি ডাক্তারের গড়িমসি, নার্সদের ফাঁকিবাজি, ওয়ার্ডবয় ও ক্লিনারদের চাঁদাবাজি যেন রোজকার ঘটনা। চমেকের এই অনিয়মজনিত সিন্ডিকেট চক্র থেকে আনসার সদস্যরাও বাদ যায়নি। তারাও কোনো না কোনোভাবে রোগী এবং রোগীর স্বজনদেরকে বিড়ম্বনায় ফেলে।
এমন অনিয়ম শুধুমাত্র চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নয়, এই অনিয়ম বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছেঁয়ে গেছে। বস্তুতপক্ষে বর্তমানে বাংলাদেশের সরকারি মেডিকেলের ডাক্তারদের দায়িত্বে অবহেলা জনিত কারণে অনেক গরীব মা–বাবার সন্তান অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। সরকারি মেডিকেলের ডাক্তাররা যদি সিডিউলের নির্ধারিত দায়িত্বটুকু যথাযথ পালন করেন এবং মেডিকেলের কর্তৃপক্ষ যদি তা যথাযথ তদারকি নিশ্চিত করেন, তবে কোনো রোগীকে চিকিৎসা জনিত অবহেলার শিকার হবে না। অতঃপর চিকিৎসার মতো মৌলিক অধিকার রক্ষা পাবে।
এস.এম.রাহমান জিকু
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম কলেজ।