দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষদের নিয়ে বিএনপি সরকার পতন আন্দোলনের পথে আছে বলে মন্তব্য করেছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকার সোমবার বিকালে ভার্চুয়াল আলোচনা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বিএনপি সরকার পতন আন্দোলনের পথে আছে। এই পথে আমাদের সহযাত্রী হিসেবে আছে দেশের ১৬ কোটি মানুষ আর যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, আইনের শাসনে বিশ্বাস করে, নির্বাচিত সরকারে বিশ্বাস করে তারা। সেই গন্তব্যস্থলের দিকে আমরা কিন্তু যাচ্ছি। এই আন্দোলন কেউ থামাতে পারবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুক্তির পথে সবাই চলছে। কেউ সামনে কেউ পিছনে কেউ ডানে কেউ বামে। আমরা সেই পথে চলছি। সব কিছু তৈরি আছে। তারেক রহমান সাহেব সেই কাজটি করছেন। খবর বিডিনিউজের।
বিএনপিতে নেতৃত্বের কোনো সংকট নেই মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, একবার এদেশকে মুক্ত করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, একদলীয় বাকশাল থেকে দেশকে তিনি মুক্ত করেছিলেন। আরেকবার এরশাদের স্বৈরাচারী সরকার থেকে দেশকে মুক্ত করেছিলেন- এককভাবে যিনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আন্দোলন করে তিনি হচ্ছেন আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আর এবার অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার থেকে দেশকে মুক্ত করবেন তারেক রহমান। তার নেতৃত্বে মুক্ত হবে বাংলদেশ।
তিনি বলেন, আমি এটাকে সরকার বলি না। আমি একটা রেজিম বলি। এই রেজিমে আছে দেশদ্রোহীরা, যারা দেশের মানুষের ভোট কেড়ে নিতে পারে, যারা দেশের মানুষের মানবাধিকার কেড়ে নিতে পারে, যারা দেশের মানুষের আইনের শাসন কেড়ে নিতে পারে, যারা দেশের মানুষের নিরাপত্তা কেড়ে নিতে পারে। এর মধ্যে রাজনীতিবিদ আছে, সরকারি কর্মকর্তা আছে, তথাকথিত সুশীল সমাজের লোক আছে, এর মধ্যে লুটেরা ব্যবসায়ীরা আছে। এটার সাথে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নাই। এটার সাথে আওয়ামী লীগেরও কোনো সম্পর্ক নাই। যদি আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে থেকে থাকে তাহলে এটা আওয়ামী লীগেরও না।
‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন’ এর উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারের মুক্তির দাবিতে এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হয়। আবদুস সাত্তার পাটোয়ারির সভাপতিত্বে ও আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়ার সঞ্চালনায় সভায় বিএনপির শামুসজ্জামান দুদু, আমানউল্লাহ আমান, আসাদুজ্জামান রিপন, ফজলুল হক মিলন, কামরুজ্জামান রতন, আজিজুল বারী হেলাল, এবিএম মোশাররফ হোসেন, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, আমিনুর রহমান আমিন ও সাইফ মাহমুদ জুয়েল, কারাবন্দি ইসহাক সরকারের ভাই ইয়াকুব সরকার বক্তব্য রাখেন।