সম্মেলনের ৫ মাস পরও চট্টগ্রামের তিন সাংগঠনিক জেলায় কমিটি হয়নি। এর ফলে আওয়ামী যুবলীগের কার্যক্রমে অনেকটা ভাটা পড়েছে। এর মাঝে সংগঠনের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগামী ১১ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে যুবলীগ। প্রার্থীরা আশা করেছিলেন সুবর্ণজয়ন্তীর আগে কমিটি ঘোষিত হবে। কিন্তু হয়নি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থীদের মধ্য থেকে বাছাই করে শর্ট লিস্ট তৈরি করা হয়েছে। ১১ নভেম্বরের পরপর চট্টগ্রামে যুবলীগের কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে।
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যুব মহাসমাবেশের মধ্যদিয়ে ১০ লক্ষাধিক নেতাকর্মীর সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। দীর্ঘদিন পর ঢাকায় নিজেদের শক্তির জানান দিতে চায় যুবলীগ। যুব মহাসমাবেশের দিন দেশের প্রতিটি জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌরসভা ও গ্রাম থেকে নেতাকর্মীরা যোগ দেবেন। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এই লক্ষ্যে আজ বুধবার সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম দক্ষিণের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় যুবলীগের পক্ষ থেকে মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের সাথে প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়েছে। গত ২৮ মে দক্ষিণ জেলা যুবলীগ, ২৯ মে উত্তর জেলা যুবলীগ ও ৩০ মে মহানগর যুবলীগের সম্মেলনের পর এই তিন সাংগঠনিক জেলায় কমিটি নেই। যুবলীগের সম্ভাব্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা নিজ উদ্যোগে কর্মসূচি পালন করে আসছেন। ১১ নভেম্বর ঢাকার যুব মহাসমাবেশেও চট্টগ্রামের তিন জেলা থেকে সম্ভাব্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা নিজ উদ্যোগে নেতাকর্মীদের নিয়ে যোগ দেবেন।
মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের তিনজন সভাপতি প্রার্থী গতকাল আজাদীকে জানান, আমরা মনে করেছিলাম ১১ নভেম্বর সংগঠনের ৫০ বছর পূর্তির আগে কমিটি ঘোষণা করা হবে। নতুন কমিটির নেতৃত্বে যুব মহাসমাবেশে যোগ দেব-এমনটাই আশা করেছিলাম। কিন্তু মনে হয় সেটা হচ্ছে না। মহাসমাবেশের সফল করার জন্য চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ বুধবার সকালে তিন সাংগঠনিক জেলার সম্ভাব্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের নিয়ে প্রস্তুতি সভা করবেন। ১১ নভেম্বরের যুব মহাসমাবেশে মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সম্ভাব্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা নিজ উদ্যোগে নেতাকর্মীদের নিয়ে যোগ দেবেন। এই ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়ার জন্য আজকের প্রস্তুতি সভা আহবান করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় শীর্ষ এক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মহানগর যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৯৩ জন প্রার্থীর মধ্যে কেন্দ্রীয় শর্ট লিস্টে রয়েছে ৯ জনের নাম। দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে ৩২ জন প্রার্থীর মধ্যে কেন্দ্রীয় শর্ট লিস্টে রয়েছে ৭ জনের নাম। উত্তর জেলায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২৯ জন প্রার্থীর মধ্যে কেন্দ্রীয় শর্ট লিস্টে রয়েছে ৮ জনের নাম। শর্ট লিস্ট থেকেই তিন সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের শীর্ষ এক নেতা জানান, মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জন্য জমা দেয়া ১৫৪ প্রার্থীর বায়োডাটা থেকে যাচাই-বাছাই করে অনেকটা চূড়ান্ত করা হয়েছে। অন্যান্য পদের জন্য বায়োডাটা জমা পড়েছে প্রায় দেড় হাজারের মতো। সেখান থেকে যোগ্যদের বাছাই করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ১১ নভেম্বর যুব মহাসমাবেশের পর চট্টগ্রামে যুবলীগের কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানান তিনি।