চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছে প্রায় ১৬ মাস আগে। কিন্তু মহানগর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি। এখন কেন্দ্র থেকে মহানগর ও দক্ষিণ জেলার সম্মেলনে জোর দেওয়া হচ্ছে। বলা যায় বারবার তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। তারপরও দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখতে না পেয়ে তৃণমূলে হতাশা বিরাজ করছে। এদিকে তৃণমূল থেকেও সম্মেলনের জন্য দাবি উঠেছে। গত সপ্তাহে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপিকে সম্মেলনের ব্যাপারে তাগাদা দেন। সাধারণ সম্পাদকের তাগাদার পর দ্রুত জেলা কমিটির সভা ডেকে সম্মেলনের তারিখের ব্যাপারে আলোচনা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন মোছলেম উদ্দিন। এদিকে কেন্দ্র থেকে বারবার তাগাদা পাওয়ার পর মহানগর আওয়ামী লীগও সম্মেলনের দিকে এগোচ্ছে বলে জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সম্মেলন করতে ব্যর্থ হলে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্র থেকেই কমিটি দেয়া হতে পারে। ইতোমধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের একটি বর্ধিত সভায় নগরীর প্রতিটি ইউনিট ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের ব্যাপারে নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
২০১৩ সালে সমঝোতার ভিত্তিতে মহানগর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কমিটি হয়। তিন বছরের এই কমিটি সাত বছর ধরে চলছে। এর মধ্যে দক্ষিণের বাঁশখালী উপজেলায় ২৪ বছর এবং বোয়ালখালীতে ২২ বছর ধরে সম্মেলন হয়নি। নগরের ছয়টি ওয়ার্ড ছাড়া সবগুলোতে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে চলছে কার্যক্রম।
এসব কারণে এই দুই সাংগঠনিক জেলার সম্মেলন হতে পারছে না বলে দাবি করা হয়েছে। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন কেন্দ্রের নির্ধারিত সময়ে করতে পারলেও দক্ষিণ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ সম্মেলন করতে পারেনি। কবে নাগাদ এই দুই জেলার সম্মেলন হবে তা নিয়ে নেতাকর্মীদের কৌতূহল রয়েছে।
গত সপ্তাহে নগরীর বহদ্দারহাট থেকে বোয়ালখালী সড়কে বিআরটিসির বাস সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে এক পর্যায়ে ওবায়দুল কাদের সম্মেলনের জন্য তাগাদা দিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ও মহানগরের সম্মেলন করা খুবই জরুরি। এই বিষয়ে নজর দেবেন। অনতিবিলম্বে সম্মেলনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। এটা প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা। আমি আপনাকে জানিয়ে দিলাম। এ সময় মোছলেম উদ্দিন দলের সাধারণ সম্পাদককে আশ্বস্ত করেন।
প্রসঙ্গত, নগরের ছয়টি ওয়ার্ডে নতুন কমিটি রয়েছে। বাকি ৩৫ ওয়ার্ডে সম্মেলন হয়নি। প্রত্যেকটি ওয়ার্ড কমিটি ১০ থেকে ১২ বছরের আগের।