সম্মেলন ছাড়াই রাউজান উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি

কেন্দ্রে কয়েকজন সিনিয়র নেতার অভিযোগ

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২১ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৬:১৯ পূর্বাহ্ণ

পূর্ব নির্ধারিত সম্মেলন ছাড়াই রাউজান উপজেলা ও পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে। এর মধ্যে অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরীকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক এবং আবু মোহাম্মদকে পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ও ইফতেখার উদ্দিন খান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। ১৪ জানুয়ারি তাদের বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হলেও গতকাল বিষয়টি জানানো হয়। এরা সবাই উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী বলে পরিচিত।

উত্তর জেলা বিএনপির পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, গত ১৮ জানুয়ারি উপজেলা বিএনপি ও পৌরসভার দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল হওয়ার কথা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. ছালাউদ্দিনের নেতৃত্বধীন নির্বাচন কমিশন এ তারিখ নির্ধারণ করে তফশীল ঘোষণা করে। সম্মেলনের ভেন্যু হিসাবে ধার্য্য করা হয় উপজেলা সদরের এ কে এম ফজলুল কবির চৌধুরী অডিটোরিয়াম। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১০ ও ১১ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দলীয় কার্যালয় নাছিমন ভবন চট্টগ্রাম থেকে প্রার্থীগণ মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ, ১২ জানুয়ারি জমা প্রদান এবং ১৪ জানুয়ারি যাচাইবাছাই ছিল।

কেন্দ্রে অভিযোগ : গত ১১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ও উত্তর জেলা বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা কেন্দ্রে অভিযোগ করে বলেন, ৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি এবং সকল উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাদের সমন্বয়ে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন উপজেলা এবং পৌরসভার আওতাধীন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে কমিটি গঠনে দলের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমত করে কমিটি গঠনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু সভার পরদিন থেকে উপজেলা এবং পৌরসভার কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করে। কারো সাথে আলোচনা না করে এ তারিখ ঘোষণার দাবি করা হয়। সম্মেলন স্থগিত করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। তারা নতুন করে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানান।

অতঃপর সামনে এল নতুন কমিটি : প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. ছালাউদ্দিনসহ বাকি দুই সহকারী নির্বাচন কমিশনার গোলাম আকবর খোন্দকারকে একটি পত্র দেন। এতে তারিখ রয়েছে ১৪ জানুয়ারি। পত্রে বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করা হয়।

এতে বলা হয়, উপজেলা পর্যায়ে উপজেলার সভাপতি পদে ২টি, সাধারণ সম্পাদক পদে ২টি ও পৌরসভা সভাপতি পদে ১টি, সাধারণ সম্পাদক পদে ১টিসহ মোট ৬টি মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করা হয়। বিপরীতে ১২ জানুয়ারি ৪টি মনোনয়ন পত্র কমিশন বরাবরে জমা হয়।

উপজেলা সভাপতি পদে অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এবং পৌরসভার সভাপতি পদে আবু মোহাম্মদ, পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক পদে ইফতেখার উদ্দিন খানের মনোনয়ন পত্র জমা হয়। অন্য ২ জন হাসান মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন উপজেলা সভাপতির পদে ও মোহাম্মদ শফি উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়নপত্র জমা করেননি। এরপর ১৪ জানুয়ারি প্রার্থীগণের উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র যাচাইবাচাইয়ের মাধ্যমে প্রার্থীগণের মনোনয়পত্র সঠিক বলে বিবেচিত হয়। একইদিন বিকেল ৫টায় চূড়ান্তভাবে অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, আবু মোহাম্মদকে ও ইফতেখার উদ্দিন খানকে চূড়ান্তভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। চিঠি পাওয়ার বিষয়টি আজাদীকে নিশ্চিত করেন গোলাম আকবর খোন্দকার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা
পরবর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়িতে জরিমানার পর বন্ধ হল ১৬ অবৈধ ইটভাটা