‘অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশ, ২০২৪‘ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। খবর বাসস ও বিডিনিউজের।
এদিকে অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এবং সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিরা কোন প্রক্রিয়ায় আয় ও সম্পদ বিবরণী জমা দেবেন, তা ঠিক করে একটি খসড়া নীতিমালার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিবছর আয়কর জমা দেওয়ার সর্বশেষ তারিখের পরবর্তী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার কাছে আয় ও সম্পদ বিবরণী দিতে হবে তাদের।
দীর্ঘদিন থেকে সরকারে থাকা ব্যক্তিদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ করার দাবি জানিয়ে আসছে নাগরিক সমাজসহ বিভিন্ন মহল। ছাত্র–জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ অগাস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্র্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। এরপর উপদেষ্টাদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিষয়টিও সামনে আসে।
এর আগে সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দিতে ৩ সেপ্টেম্বর নির্দেশনা দেয় সরকার। পরদিন কীভাবে তারা সম্পদের তথ্য জমা দেবেন সেটির ফরম ঠিক করতে কমিটিও গঠন করে দেয় জনপ্রশাসন বিভাগ। পাঁচ সদস্যের এ কমিটি সরকারের কাছে সম্পদের তথ্য দাখিল করার একটি অভিন্ন ফরম বা বিবরণী তৈরির ছক তৈরি করবে।
উপদেষ্টাদের সম্পদ বিবরণী প্রকাশের বিষয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলছে, অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এবং সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের যারা সরকার অথবা প্রজাতন্ত্রের কাজে যুক্ত, তারা প্রতিবছর আয়কর জমা দেওয়ার সর্বশেষ তারিখের পরবর্তী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে নীতিমালায় সংযুক্ত ছকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার নিকট তাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী জমা দেয়ার বিধান রেখে খসড়া ‘আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা‘ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদিত হয়। আয়কর আইন অনুযায়ী, কোম্পানি ব্যতীত অন্য করদাতাদের আয়কর হিসাব বিবরণী জমার শেষ দিন ৩০ নভেম্বর। তবে কোনো কোনো বছর সরকার বিশেষ ব্যবস্থায় এ সময় বাড়িয়ে থাকে।