‘ফুল ফার্নিশড সেকেন্ড হোম’- এই প্রতিপাদ্যে গত ১০ জুন হতে শুরু হওয়া বিক্রয়সেবা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে গত শনিবার। চট্টগ্রামের আবাসন খাতে ইনোভেটিভ আইডিয়ার পথিকৃৎ সিপিডিএল-এর সেকেন্ড হোম কনসেপ্ট প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে, ১৮তলা বিশিষ্ট নির্মিতব্য দ্যা গ্যালেরিয়া প্রকল্পে আয়োজন করা হয় এই বিক্রয়সেবা কার্যক্রম-এর। পেশাগত ব্যক্তিবর্গের পদচারণায় মুখরিত চট্টগ্রামে মানসম্পন্ন কিন্তু সাশ্রয়ী আবাসন সলিউশনের জন্য, ক্রমাগত উন্নত এবং আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর মাধ্যমে নব দিগন্ত উন্মোচন করে সিপিডিএল ইনোভেশন করেছে এই ‘সেকেন্ড হোম’ কনসেপ্ট। সেকেন্ড হোম মূলতঃ স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট কেন্দ্রিক একটি ডায়নামিক হোম সলিউশন যা ওকেশনাল হোম বা ওয়ার্কিং হোম হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় এবং সুপরিচিত হলেও চট্টগ্রামের ভোক্তাকূলের কাছে নিতান্তই নতুন এবং চট্টগ্রামের প্রথম ও একমাত্র সিডিএ অনুমোদিত প্রকল্প।
উদ্বোধনী দিন থেকেই এই ইনোভেটিভ “সেকেন্ড হোম” পরিদর্শনে আগ্রহী ক্রেতা দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল লক্ষ্য করার মতো। স্থানীয় ও প্রবাসীদের প্রতিনিধিদের মাঝে প্রকল্পটির ব্যাপারে দারুণ আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। এই উদ্বোধনী বিক্রয়সেবা কার্যক্রমে অনেকেই বুকিং নিশ্চিত করেছেন এবং কিছু সংখ্যক গ্রাহক অপেক্ষমান আছেন। গ্রাহকরা সিপিডিএল এর এই যুগান্তকারী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সেকেন্ড হোম ধরনের কনসেপ্ট যেকোন শহরের গুরুত্বকে বাড়িয়ে দেয় অনেক গুণে। বিশ্বের অনেক শহরে সার্ভিসড অ্যাপার্টমেন্ট কিংবা স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্টের আদলে এ ধরনের সেকেন্ড হোম রয়েছে। প্রকল্পটি’র অবকাঠামোগত নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়ে গেছে, প্রস্তুতি চলছে ফিনিশিং ও ফার্নিশিং পর্যায়ের কাজের। সিপিডিএল এর প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন জানান, সেকেন্ড হোম প্রকল্প রিয়েল এস্টেট সেক্টরের আরেকটি নতুন ডাইমেনশন। এতে চাইলে থাকতেও পারবেন অথবা দিন ভিত্তিক ভাড়াও দিতে পারবেন। আর তা যদি হয় সম্পূর্ণ ফার্নিশড, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। তার মতে রিয়েল এস্টেট সেক্টর শুধু নয়, ব্যবসায় প্রতিনিয়ত নতুন নতুন বিষয় যুক্ত করতে হয়। সেই নতুনত্বের ধারায় আমরা যুক্ত করেছি সেকেন্ড হোম। সিপিডিএল সেকেন্ড হোম নিয়ে পূর্ণ উদ্যমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, সামনে নতুন নতুন আরও চমক আসতে পারে বলে তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়। খবর প্রেসবিজ্ঞপ্তির।