সমাজের কোনো পেশাই অমর্যাদার নয়

শরিফুল ইসলাম | বৃহস্পতিবার , ৩১ মার্চ, ২০২২ at ৫:৫৮ পূর্বাহ্ণ

আমার চাচা। মানে আমার বাবার চাচাতো ভাই, হাসমত আলী। সম্পর্কটা একটু দূরের বলা যায়। তবে চাচা আমাকে খুবই স্নেহ করেন। কিছুদিন আগে কয়েকজন বন্ধুর সাথে কলেজ থেকে ফিরছিলাম। রাস্তায় একটা হকার’কে দেখে বন্ধুরা বললো চল, কি আছে খেয়ে আসি। লোকটা শনপাপড়ি বিক্রি করে। ভাঙা টিন, বোতন, লোহা প্লাস্টিক ইত্যাদির বিনিময়ে সে শনপাপড়ি দেন, আবার টাকায়ও বিক্রি করে। বুঝতে পারলাম আমাকে দেখে সে একপ্রকার সংকোচ বা লজ্জা পাচ্ছে। আমাকে সে না চেনার ভান করছে এবং আপনি তাপনি করে বলছে। আমি সত্যিই অবাক হয়েছি। বন্ধুদের সাথে আছি বলেই কী তাঁর পেশার জন্য আমার সাথে পরিচয় গোপন করতে হবে? আমি তাঁকে বলেই ফেললাম, “চাচা তুমি আমাকে আপনি করে বলছো কেন? তুমি আমাকে চেনো না?” সে আমার দিকে অন্য রকম ভাবে তাকিয়ে ছিলো। আমি বন্ধুদের বললাম, এটা আমার চাচা। আমাকে খুবই আদর করতো ছোট বেলায়। তারপরে, চাচা শনপাপড়ি দাম নেয়নি, কোনো ভাবেই তাকে শনপাপড়ির দামটা দিতে পারি নি। সে হয়তো সত্যিকের দামটা পেয়ে গেছে।
লেখক: শিক্ষার্থী

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অতি দ্রুত চার লেনের করা হোক
পরবর্তী নিবন্ধইভটিজিং প্রতিরোধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা উচিত