সমকালের দর্পণ

ভারতীয় পূর্বাঞ্চলের প্রদেশ সমূহ : ভারত - বাংলাদেশ চলমান সম্পর্ক

মেজর মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম (অব.) | রবিবার , ২০ অক্টোবর, ২০২৪ at ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ

আসাম : আলেকজান্ডার ম্যাকাঞ্জি তার বই ‘হিস্ট্রি অব দি গর্ভমেন্ট উইথ দি হিল ট্রাইবস অব দি নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার অব বেঙ্গল ইন ১৮৮৪’ বইএ সম্ভবত সর্বপ্রথম বাংলার উত্তর পূর্ব অঞ্চল তথা আসাম, মনিপুর এবং ত্রিপুরাকে বুঝানোর জন্য ‘নর্থ ইস্ট’ শব্দ ব্যবহার করেন। সেই থেকে ‘নর্থ ইস্ট’ বলতে আমরা ভারতের আসাম, ত্রিপুরা, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, অরুনাচল এবং মেঘালয় নিয়ে বর্তমানের ভারতীয় র্পূ্বাঞ্চলকে বুঝি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জার্মানি এবং জাপানের বিশ্বব্যাপী নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের স্বপ্নকে বিদূরিত করে। উত্থান ঘটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর সোভিয়েত ইউনিয়নের। পরবর্তীতে এ দুইয়ের শীতল যুদ্ধ পৃথিবী দেখেছে উচ্চকিত আর উৎকণ্ঠায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হল তৃতীয় বিশ্বের বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, ভারতসহ বহুদেশের স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধান্তে ভারতকে কীভাবে স্বাধীনতা প্রদান করা যায় সেটি বিবেচনার জন্য গ্রেট ব্রিটেন ১৯৪৬ সালের মার্চে লর্ড প্যাট্রিক লরেন্স, স্যার স্টার্ফোড ক্রিপস এবং এ বি আলেক্সান্ডার এর নেতৃত্বে ভারতে একটি মিশন প্রেরণ করে। এ মিশন পরবর্তীতে বিশেষ করে এই উপমহাদেশে কেবিনেট মিশন হিসাবে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করে। কেবিনেট মিশন মুসলিম লীগ, কংগ্রেস এবং অন্যান্য দলের কেন্দ্রীয় এবং প্রাদেশিক নেতাদের সাথে ব্যাপক আলোচনা শেষে সিমলায় একটি বৈঠকের আয়োজন করে। এই বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইতিপূর্বের আলোচনায় উঠে আসা স্বাধীনতা প্রশ্নে মুসলিম লীগ এবং কংগ্রেসের বিদ্যমান পার্থক্য বিদূরিত করা। অনেক আলোচনায়ও কোনো ধরনের সম্মত সিদ্ধান্তে আসতে না পারার বিষয়টি মাথায় নিয়ে কেবিনেট মিশন লন্ডনে ফিরে যায়। দুইমাস পর কেবিনেট মিশন করাচি এসে পৌঁছান। করাচিতে কেবিনেট মিশন ঘোষণা করে তার ভারতেকে এ বি এবং সি এই তিনটি ভাগে ভাগ করে স্বাধীনতা দেওয়ার মনস্থ করেছেন।

এ ব্যবস্থায় অভিবক্ত বাংলা এবং আসামকে ‘সি’ তে অর্ন্তভুক্ত করে ভারত পাকিস্তানের বাইরে ‘আসাম বেঙ্গল’ তৃতীয় দেশটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়। কংগ্রেস এ প্রস্তাবে ঘোরতর আপত্তি উত্থাপন করে। শ্যামাপ্রসাদ মুর্খাজি, বল্লভ ভাই প্যাটেল বিশেষ করে আসামের গোপিনাথ বড়ডুলুই ‘আসাম বেঙ্গল’ এক রাষ্ট্রের বিরোধিতায় ফেটে পড়েন। তারা হিসাব করে দেখান বাংলায় মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। সেই হিসাবে সংখ্যানুপাতে ‘আসাম বেঙ্গল’ এর নির্ধারিত ৬০ সদস্যের আসনে মুসলমানরা ৩৩ আসন এমনিতেই পেয়ে যাবে, তার বাইরে সাধারণ আসনের আরো ৩ টি আসন নিশ্চিত সব মিলিয়ে ৬০ আসনের ৩৬ আসন মুসলিমদের হাতে যাবে এবং তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসাবে ‘আসাম বেঙ্গল’ এর দণ্ডমুণ্ডের মালিক হবে। এসব বিষয় সামনে এনে গোপিনাথ বড়ডুলুই কেবিনেট মিশন ঘোষণার বিরোধিতায় আদাজল খেয়ে নামেন, গান্ধী কেবিনেট মিশন ঘোষণার ব্যাপারে বড়ডুলুই এর পক্ষাবলম্বন করলে শেষ পর্যন্ত ‘আসাম বেঙ্গল’ আর আলোর মুখ দেখেনি। সে আলোর মুখ না দেখার বেদনা বুকে নিয়ে এই চট্টগ্রামে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের সদর দপ্তর এখনও বিদ্যমান।

রাজনীতির নানা কূটকৌশলে বাংলাও ভাগ হয়ে যায় পশ্চিম বঙ্গ আর আসাম ধর্মান্ধতাকে অবলম্বন করে ভারতের অংশ হয়। পরবর্তীতে আসাম থেকে পর্যায়ক্রমে ১৯৬৩ সালে নাগাল্যান্ড, ১৯৭২ সালে মেঘালয়, ১৯৮৭ সালে অরুনাচল এবং মিজোরাম পৃথক রাজ্য হিসাবে ভারতে সাংবিধানিক স্বীকৃতি লাভ করে।

এ ছিল বাংলার সাথে আসামের প্রথম সম্পর্ক ভাগাভাগি। এর পর ব্রম্মপুত্র, বারাক, মানস আর লোহিত নদী দিয়ে জল গড়িয়েছে অবিরাম। আসাম খণ্ডিত হয়েছে, সংকোচিত হয়েছে। আসামের মানুষেরা রাজনীতির কূটচাল থেকে নিঃস্কৃতি পায়নি সেভাবে। সমসাময়িক ইতিহাসে এরই দ্বিতীয় ধাপ, ৭ এপ্রিল ১৯৭৯।

আসামের শিব সাগরে, রাজিব কানোয়ার (অরবিন্দ রাজখোয়া), গোলাপ বড়ুয়া (অনুপ চেটিয়া), প্রদীপ গগৈ (সমিরন গগৈ) এবং পরেশ বড়ুয়া’র সম্মিলিত সিদ্ধান্তে গঠিত হয় ‘ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট আসাম’ বা সংক্ষেপে উলফা। শুরুতেই উলফা ঘোষণা করে এতদিনের বিদেশী খেদাও আন্দোলন সঠিক নয়। সত্যাগ্রহ বা অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে আসামের অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। একমাত্র সহিংস সশস্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আসামকে স্বাধীন করে আসামিদের অধিকার নিশ্চিত করা যাবে। এই লক্ষ্যে রাজিব কানোয়ার (অরবিন্দ রাজখোয়া)কে পার্টি প্রধান এবং পরেশ বড়ুয়া’কে সামরিক প্রধান করে ‘ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট আসাম’ যাত্রা শুরু করে। শুরু থেকেই উলফা আসামে সামরিক বেসামরিক লক্ষ্যবস্ত্তুতে মারাত্মক সব আক্রমণ পরিচালনা করতে থাকে। তাদের শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে উলফা ইতিমধ্যে আসামে সশস্ত্র আন্দোলনরত অর্পণ ভেজবুড়ার এ পি এল এ বা আসাম পিপলস লিবারেশন আর্মি’র সাথে সমঝোতার মাধ্যমে তাদেরও দলে ভিড়ায়। এ দলের অন্যতম নেতা মুনিম নবিস, পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থার সাথে সম্পর্ক স্থাপনে ঢাকার প্রতিষ্ঠিত ধনাঢ্য এক ব্যবসায়ীর সাথে পাকিস্তান গমন করেছিলেন। তার সে চেষ্টা সফল হয়নি। মুনিম’এর ব্যর্থ সে প্রচেষ্টার অভিজ্ঞতা রয়েছে। উলফা মুনিম নবিস’কে তাদের যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে পুনরায় পাকিস্তান প্রেরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সেই অনুযায়ী ১৯৮৯ সালে নানা কাঠখড় পুড়িয়ে মুনিম নবিস’ পাকিস্তানে পৌঁছে যান। এ যাত্রায় মুনিম এক অভাবনীয় কাণ্ড করে বসেন। করাচি পৌঁছে মুনিম সোজা এক পুলিশ স্টেশান ঢুকে পড়েন। থানায় তার পরিচয় দিয়ে তার উদ্দেশ্য জানান। তিনি পাকিস্তানের কোনো উর্ধ্বতন পুলিশ বা গোয়েন্দা কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাৎ করতে চান! পুলিশের প্রশ্নে মুনিম সোজা জানিয়ে দেন তিনি আসাম থেকে এসেছেন। থানা পুলিশ তাকে মাতাল সাব্যস্ত করলে তিনি তার হোটেলের ঠিকানা দিয়ে প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে বলে ব্যর্থ মনোরথে ফিরে যান। পরদিন সকালে মুনিম’এর হোটেল রুমে বেল বাঝে। মুনিম দরজা খুলতে দরজার সামনে দাঁড়ানো ভদ্রলোক রুমে ঢুকার অনুমতি নিয়ে ভিতরে গিয়ে বসেন। নিজের পরিচয় দেন তিনি আই এস আই’এর লোক বলে। আই এস আই’এর ভদ্রলোক মুনিম’এর কাছে তার পরিচয় জানতে চাইলে, মুনিম তার পরিচয় দেন উলফা’র প্রতিনিধি বলে এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানান তিনি উলফা’র হয়ে তাদের সংগ্রামে পাকিস্তানের কাছে সাহায্য চাইতে এসেছেন।

দীর্ঘ আলাপ আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়, উলফা’র একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিনিধি দল এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণার্থে পাকিস্তান সফর করবেন।

১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন বাংলাদেশে রূপান্তরিত হলে ভারতীয় র্পূ্বাঞ্চলের নাগা এবং মিজোদের সাথে পাকিস্তানীদের যে সর্ম্পক বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল এখন উলফা’র মাধ্যমে তা আবার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। ১৯৯০ সালে রাজিব কানোয়ার (অরবিন্দ রাজখোয়া), হিরকজ্যোতি মহন্ত, প্রদীপ গগৈ (সমিরন গগৈ), গোলাপ বড়ুয়া (অনুপ চেটিয়া) এবং মনোজ হাজারিকা ঢাকা থেকে বাংলাদেশ বিমানে পাকিস্তান পৌঁছান। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ পুরা বিষয়টি তাদের নজরদারিতে রাখে। ভারতীয়দের বিশ্বাস উলফা প্রতিনিধিদের পাকিস্তান গমনের পুরা বিষয়টি ঢাকাতে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে আয়োজিত হয়েছে।

পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন ঐ বৈঠকে উলফা নেতৃবৃন্দকে কৌশল হিসাবে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা যেমন তেল ক্ষেত্র, সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবন, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করতে আক্রমণ পরিচালনার পরামর্শ দেন। উলফা নেতৃবৃন্দ এতে দ্বিমত পোষণ করে বলেন অর্থনীতি বিপর্যস্ত হলে জনগণ কর্মসংস্থান হারাবে এতে তারা উলফা’র প্রতি বিরূপ হয়ে উঠবে। উলফা নেতৃবৃন্দ সামরিক বাহিনীর উপর তাদের আক্রমণ সীমাবদ্ধ রাখার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। পাল্টা যুক্তি হিসাবে পাকিস্তানীরা ভারতীয় সেনাবাহিনীর সক্ষমতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাদের সাথে উলফা’কে শক্তি সঞ্চয়ের পূর্বে সংঘাতে না জড়ানোর পরামর্শ দেন। উলফা রণকৌশলের বিষয়টি তাদের উপর ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে অস্ত্র প্রাপ্তির বিষয়টির উপর জোর দেয়।

আসাম জুড়ে এর পর শুরু হয় অস্ত্রের ব্যাপক ঝনঝনানি। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং সেনাবাহিনী সিদ্ধান্ত নেয় উলফা’র উপর চরম আঘাত হানার। সেপ্টেম্বর ১৯৯০ লেফটেনেন্ট জেনারেল অজয় সিং তখন পাকিস্তান সীমান্তে দায়িত্বরত ছিলেন তাকে চীপ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল রড্রিক্স সেনা সদর দপ্তরে ডেকে নিয়ে জানান তাকে ভারতের র্পূ্বাঞ্চলীয় সেনাবাহিনীর কোর কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়েছে। ১৮ নভেম্বর ৯০ অজয় সিং’কে জেনারেল কে এস ব্রারার কলকাতায় ডেকে পাঠান। ব্রারার তখন ভারতের সমস্ত র্পূ্বাঞ্চলীয় সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত। এই ব্রারার’ই অমৃতসরের গোল্ডেন টেম্পল’এ অপারেশন ব্লু স্টার এবং শ্রীলংকায় তামিলদের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযানে ভারতীয় বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ব্রারার অজয় সিং’কে আসামে উলফা’র বিরুদ্ধে অভিযানের যাবতীয় প্রস্ত্তুতির নির্দেশ দেন।

অজয় সিং তেজপুর পৌঁছে শান্তিকালীন এক বিশাল যুদ্ধযাত্রার আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ২৬ নভেম্বর ১৯৯০ অজয় সিং এর নেতৃত্বাধীন সৈন্যরা যুদ্ধের জন্য পুরাপুরি প্রস্ত্তুত হয়ে আদেশের অপেক্ষায় থাকে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী তখন চন্দ্রশেখর। ২৮ নভেম্বর ১৯৯০ তিনি আসাম রাজ্য সরকারকে বরখাস্ত করে রাষ্ট্রপতির শাসন কায়েম করেন। একই রাতেই ‘অপারেশন বজরঙ’ নাম দিয়ে দলে দলে ভারতীয় সৈন্য সশস্ত্র যুদ্ধ সাজে উলফা’র বিরুদ্ধে অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ৩১ শে জানুয়ারি ১৯৯১ ‘অপারেশন বজরঙ’এর সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী সেপ্টেম্বর ১৯৯১ উলফা’র বিরুদ্ধে পুনরায় ‘অপারেশন রাইনো’ শুরু করে। এরই মাঝে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ পশ্চিমবঙ্গের নঙাল আন্দোলনের একই কায়দায় উলফা দমনে গঠন করে ‘সুলফা’। এই সুলফা ১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত আসামে উলফা সংশ্লিষ্ট পরিবার পরিজনের বহু লোককে হত্যা করে। এসব নানাবিদ অপারেশনের চাপে প্রচুর উলফা সদস্য ভুটান এবং বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করে। ভুটান তাদের ভূখণ্ডে আশ্রয় নেওয়া উলফা সদস্যদের বিরুদ্ধে ডিসেম্বর ২০০৩ এ ‘অপারেশন অল ক্লিয়ার’ নাম দিয়ে অপারেশন শুরু করলে উলফা প্রচণ্ড চাপে পড়ে। এরই মাঝে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া উলফা’র শীর্ষ নেতা অরবিন্দ রাজখোয়া, অনুপচেটিয়াসহ অনেকেই গ্রেফতার হন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ তাদেরকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করলে উলফা’র স্বাধীন আসামের স্বপ্ন সদূরে মিলায়। বাংলাদেশের সাথে সর্ম্পক বিবেচনায় আসামের এসব বিষয়সমূহ ভারতীয় কৌশল প্রণেতারা সব সময় সর্বোচ্চ বিবেচনায় রাখেন নিঃসন্দেহে। (চলবে)

লেখক : প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট; সামরিক এবং নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশ হতে দেশান্তরে
পরবর্তী নিবন্ধদূরের দুরবিনে