আমি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ দেখিনি–
দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ নকশা দেখেছি
তার বুকের জমিনে।
পৃথ্বীরাজের শাসন দেখিনি–
তোর বিবেকের ঢেরায় অনিয়ম, অবহেলা,
অনাচার দেখেছি শোকের কফিনে।
আমি বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে মিছিলের স্লোগান শুনিনি,
অকথ্য ভাষার শ্লোক শুনেছি তোর বিষাক্ত ওষ্ঠাধরে।
আমি একাত্তর দেখিনি–
দু‘টি শকুনি চোখ দেখেছি তোর নৃশংসতায়,
আমি জাহেলিয়া দেখিনি–
জিন্দা লাশের চিতা দেখেছি তোর ভূতুড়ে আঙ্গিনায়।
আমি বঙ্গভঙ্গ দেখিনি–
হৃদয় ভঙ্গের সৎকার দেখেছি তোর অঙ্গীকারের চুক্তিতে,
আমি চাঁদের কলঙ্ক দেখিনি–
কলঙ্কিত হয়েছি তোর মনগড়া গল্পগ্রন্থে!
আমি ষড়ঋতু দেখিনি–
পৌষ–মাঘের হাড় কাঁপানো শীতের কান্না শুনেছি কেবল
আর দেখেছি দুরন্ত বর্ষার উন্মাদনা।
আমি প্রাচীনের আদিমতা দেখিনি–
নরমাংস ভক্ষণ করতে দেখেছি তোর
সভ্যতার শহর জুড়ে।