রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেছেন, ২০১৭ সালে এক ঘণ্টায় ৪ লাখ ৮৭ হাজার গাছের চারা লাগিয়ে দেশের মধ্যে আমরাই বৃহত্তর পরিসরে সবুজায়নের বিপ্লব শুরু করেছিলাম। আগামী ১৭ জুলাই পাঁচ লাখ চারা লাগানোর মাধ্যমে এই রাউজানে সূচনা করব দ্বিতীয় বিপ্লব। দ্বিতীয় বারের মত আমাদের সবুজ বিপ্লবের কর্মসূচিতে কৃষি মন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক উপস্থিত থেকে ক্লিন, পিংক, গ্রীণ রাউজানের সবুজপ্রেমী ছয় লাখ মানুষকে এই কর্মসূচিতে অনুপ্রাণিত করবেন। তিনি বলেন, বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তর বন আমাজনকে বলা হয় পৃথিবীর ফুসফুস। আমরা বলি সবুজ ঢাকা আমাদের এই রাউজান হবে এই অঞ্চলের ফুসফুস।
গতকাল শুক্রবার তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে রাউজানের জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ১৭ জুলাইয়ের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির এক প্রস্তুতি সভায় এই অভিমত ব্যক্ত করেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ কফিল উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হাসান বাহদুর, শাহ আলম চৌধুরী, কাজী মোহাম্মদ ইকবাল, চেয়ারম্যান বিএম জসিম উদ্দিন হিরু, সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল, কৃষক লীগ নেতা আলমগীর আলী, জিয়াউল হক সুমন, আলী আজগর চৌধুরী, তসলিম উদ্দিন, যুবলীগ নেতা সুমন দে, জাহাঙ্গীর আলম, আ.জ.ম রাশেদ, তপন দে, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী পিবলু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুল বলেন, ১৯৯৬ সালের পূর্বে রাউজান ছিল বিধ্বস্ত এক জনপদ। এমপি ফজলে করিম চৌধুরী আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার পর থেকে তার সুযোগ্য নেতৃত্বে আজ রাউজান সুজলা– সুফলা ও সমৃদ্ধ এক জনপদ। আগামী নির্বাচনে তার নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা রক্ষায় রাউজানবাসীকে নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান উপজেলা চেয়ারম্যান। পৌর মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, গ্রীণ, ক্লিন, পিংক রাউজানের জনক ফজলে করিম চৌধুরী এমপি রাউজানে স্বাধীনতা বিরোধীদের আর কোনো দিন স্থান হবে না। নির্বাচনকে সামনে রেখে কেউ ষড়যন্ত্র করলে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।