সবুজ ঠোঁটের শিকারি পাখি বন কোকিল। এরা কোকিল গোত্রীয় এই পাখির ঠোঁটের রঙের জন্য এদের অপর নাম সবুজ ঠোঁট মালকোয়া। অস্থির স্বভাবের এ শিকারি পাখিকে লোকালয়ে তেমন দেখা যায় না। পাহাড়ি বন বা প্রাকৃতিক বনের উঁচু ডালে এদের দেখা মেলে। শিকারি পাখি হিসেবে মালকোয়ার বেশ সুনাম রয়েছে। বেশ লম্বা লেজের পাখিটির ইংরেজি নাম এৎববহ নরষষবফ গধষশড়যধ, বৈজ্ঞানিক নাম চযধবহরপড়ঢ়যধবঁং ঃৎরং ঃরং। এদের লেজের কারণেই পাখিটি দেখতে অনেকটা কুকোর মতো। স্বভাব, ধরন ও গড়নে কুকোর সাদৃশ। চোখের ওপরে যেন লাল কাজলবৃত্ত লেপটানো। মালকোয়া লম্বায় ৫১ সেন্টিমিটার। তবে এদের দীর্ঘ অংশই লেজ যার দৈঘ্য ৩৮ সেমি.। দীর্ঘকায় পাখির ওজনমাত্র ১১৫ গ্রাম। শরীরে দেড়গুণ সমান লেজের কারণে বেশ সুন্দর লাগে।
খাগড়াছড়ি– দীঘিনালা সড়কের নয় মাইল এলাকায় দেখা মিলেছে এ পাখির । প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা বনে বন কোকিলদের বিচরণ। সবুজ ঘন পাতার আড়ালে থাকতেই তারা পছন্দ করে। মালকোয়া বা বন কোকিল প্রবল বিক্রমে নিজেদের বাসার আশপাশে অন্য কোনো পাখিকে ঘেঁষতে দেয় না। বুদ্ধিমান, সাহসী এবং লড়াকু স্বভাবের পাখি এরা। শিকারিদের উৎপাত ও ক্রমশ বন ও পাহাড় ধ্বংসের কারণে মালকোয়ার আবাসস্থল কমেছে।











