এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বের লড়াই বেশ জমে উঠেছে। এখনো মাত্র একটি দল সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে। সে দলটি হচ্ছে গত আসরের রানার্স আপ নিউজিল্যান্ড। বাকি তিনটি দল কারা তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। আজ আরো একটি দল নির্ধারিত হয়ে যাবে। তবে সেটি কি ইংল্যান্ড নাকি অস্ট্রেলিয়া তা জানা যাবে আজ। গতকাল দিনের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ড জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া এবং আফগানিস্তানের ম্যাচের ফলাফল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে কিউইদের। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার কাছে আফগানিস্তান হারলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে নিউজিল্যান্ড। কারন তারা সবার আগে সেমিফাইনালে চলে যায়। আয়ারল্যান্ডকে ৩৫ রানে হারিয়ে মঞ্চ প্রস্তুত রেখেছিলে নিউজিল্যান্ড। ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি রান রেটও বাড়িয়ে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ১৮৫ রানের পুঁজি গড়ে আইরিশদের তারা থামিয়ে দেয় ১৫০ রানে। এই জয়ের ফলে এক নম্বর গ্রুপে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট। অস্ট্রেলিয়ার পয়েন্ট ৫ ম্যাচে সমান ৭। তবে নিউজিল্যান্ডের নেট রান রেট +২.১১। আর অস্ট্রেলিয়ার নেট রান রেট -০.১৭।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা নি জিল্যান্ড দ্বিতীয় ওভারেই হারাতে পারত উইকেট। মিডঅফে ডেভন কনওয়ের ক্যাচ নিতে পারেননি হ্যারি টেক্টর। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মার্ক অ্যাডায়ারের বলে মিড অফে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন অ্যালেন। ১৮ বলে করেন ৩২ রান। ভাঙে ৫২ রানের উদ্বোধনী জুটি। ১ রানে জীবন পাওয়া কনওয়ে ও উলিয়ামসন এরপর টানেন দলকে। দুইজনের ৪৪ রানের জুটি শেষ হয় কনওয়ের বিদায়ে। ৩৩ বলে ২৮ রান করেন তিনি। গ্লেন ফিলিপসঝড় তোলার ইঙ্গিত দিয়েও পারেননি ইনিংস বড় করতে। ফিরেছেন ৯ বলে ১৭ রান করে। এরপর এক প্রান্তে নিজের মতো খেলে যান উইলিয়ামসন। ম্যাককার্থিকে স্লগ সুইপে ছক্কায় উড়িয়ে স্পর্শ করেন হাফ সেঞ্চুরি। পরের দুই বলে মারেন চার ও ছক্কা। ১৮ ওভার শেষে কিউইদের রান তখন ৩ উইকেটে ১৭৩। দুইশ করা খুব সম্ভব। কিন্তু পরের ওভারে তিন বলে উলিয়ামসন, জেমস নিশাম ও মিচেল স্যান্টনারের ফিরিয়ে টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক পুরন করেন জশ লিটল। অস্ট্রেলিয়া আসরে দ্বিতীয় ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করা ষষ্ঠ বোলার এখন এই পেসার। শেষ দুই ওভারে আয়ারল্যান্ড দেয় কেবল ১২ রান। নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ গিয়ে দাড়ায় ১৮৫ রানে। উইলিয়ামসন ৩৫ বলে করেন ৬১ রান। ৩৫ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন মিচেল।
১৮৬ রান তাড়া করতে নেমে আয়ারল্যান্ডের শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া। অ্যান্ডি বালবার্নি ও পল স্টার্লিংয়ের উদ্বোধনী জুটিতে ৮ ওভারে ৬৮ রান তুলে ফেলেছিল তারা। কিন্তু টানা তিন ওভারে তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ম্যাচ থেকে একরকম ছিটকে যায় আইরিশরা। স্যান্টনারকে কাট করার চেষ্টায় বোল্ড হয়ে যান ৩০ রান করা বালবার্নি। বাঁহাতি এই স্পিনার পরের ওভারে ফেরান টেক্টরকে। তিনি ফিরেন ১৪ বলে ১৩ রান করে। মাঝের ওভারে ইশ সোধিকে সুইপ করে বোল্ড হন ৩৭ রান করা স্টার্লিং। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আয়ারল্যান্ড। এতে লক্ষ্যের ধারেকাছেও যেতে পারেনি বালবার্নির দল। ৪৭ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারায় তারা। শেষ পর্যন্ত ১৫০ রানে থামে আয়ারল্যান্ডের ইনিংস। এই হারে এখানেই শেষ হয়ে যায় আসরে তাদের পথচলা। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন লকি ফার্গুসন। দুটি করে নিয়েছেন টিম সাউদি, স্যান্টনার ও সোধি।