সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ তবুও বাজার চড়া

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১৫ জানুয়ারি, ২০২২ at ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ

নগরীতে সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরেও কমছে না দাম। এখনো প্রায় সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা ধরে। বিশেষ করে এ সময়টাতে শীতকালীন সবজির দাম কমে যায়। তবে এবার ব্যবসায়ীরা উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টির অজুহাত দেখিয়ে বেশি দামে সবজি বিক্রি করছেন এমন অভিযোগ ভোক্তাদের।
আড়তদাররা বলছেন, নগরীর বাজারগুলোতে আগে স্থানীয় উপজেলাগুলো থেকে প্রচুর পরিমাণে সবজি আসতো। তবে এবার সেটি অনেক কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। আগে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, বাঁশখালী, সীতাকুণ্ড এবং হাটহাজারীসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে শীতকালীন সবজি আসতো। অন্যদিকে ভোক্তারা বলছেন, সবজি উৎপাদন করে কৃষক বর্তমান বাজারমূল্যের অর্ধেক দামও পাচ্ছে না। অথচ একশ্রেণীর ব্যবসায়ী কৃষকের কাছ থেকে কম দামে সবজি কিনে নিয়ে সিন্ডিকেট করে দ্বিগুণ দামে বাজারে বিক্রি করছে। বিষয়টি প্রশাসনের নজর দেয়া উচিত।
গতকাল নগরীর কাজীর দেউড়ি ও ২ নং গেট কর্ণফুলী কমপ্লেক্স কাঁচা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শীতকালীন সবজির মধ্যে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এছাড়া শিম ৬০ টাকা এবং বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। অন্যদিকে মুলা ৪০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, তিতা করলা ৫০ টাকা, লাউ কেজি ৫০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কাঁচা ৪০ টাকা, পাঁকা ৫০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা এবং পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
নগরীর কাজির দেউড়ি বাজারের সবজি বিক্রেতা মোহাম্মদ আজম বলেন, বাজারে আসলে সবজির সরবরাহ গত বছরের তুলনায় অনেক কম। এছাড়া উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে বৃষ্টির কারণে সবজির উৎপাদনে প্রভাব পড়েছে। যার ফলে প্রত্যাশা মাফিক সবজি বাজারে আসছে না। সবজি কাঁচাপণ্য চাইলে মজুদ করে রাখা যায় না। সরবরাহ বাড়লে দামও কমে যেতো।
এম এম ইলিয়াছ উদ্দিন নামের একজন ক্রেতা জানান, সবজির বাজার দীর্ঘদিন ধরে চড়া। বেশি হলেও কি করবো, আমাদের তো বেশি দামে কিনতে হয়। বাজারে ব্যবসায়ীরা যা ইচ্ছা তাই করছে। এখানে প্রশাসনের কোনো নিয়ন্ত্রণ আছে বলে মনে হয় না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিষমুক্ত লাউ চাষে সাফল্য
পরবর্তী নিবন্ধযৌন নিপীড়নের মামলায় খেতাব হারালেন ব্রিটিশ রাজপুত্র