সব শিক্ষার্থী শ্বশুরবাড়িতে পরীক্ষায় রইল না কেউ

| রবিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২১ at ৬:৫০ পূর্বাহ্ণ

নাটোরের বাগাতিপাড়া মহিলা মাদ্রাসা থেকে এবার দাখিলে পরীক্ষার্থী ছিল ১৫ জন; কিন্তু মহামারীর মধ্যে সবার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর কেউ পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। গত ১৪ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষায় নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউ অংশ না নেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন মাদ্রাসার তত্ত্বাবধায়ক আব্দুর রউফ। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সব শেষ করে ফেলেছে। করোনাকালীন ছুটিতে মেয়েরা অলস সময় কাটাচ্ছিল। এর মধ্যে ওই ১৫ ছাত্রীর বিয়ে হয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে পরিবারের অনাগ্রহের কারণে তারা কেউ দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। খবর বিডিনিউজের।
প্রতি বছর বাগাতিপাড়া মহিলা মাদ্রাসা থেকে ৯-১০ জন করে দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। বেশিরভাগ উত্তীর্ণও হচ্ছে। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম ঘটল। আর সে কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন আব্দুর রউফ; জানান, ওই ১৫ জনের মধ্যে তার নিজের মেয়েও রয়েছেন।
তিনি জানান, অন্য ছাত্রীদের মনোবল বাড়াতে নিজের মেয়েকেও এখানে ভর্তি করেছিলেন। কষ্টের কামাইয়ের টাকা দিয়ে তার ফরমও ফিলআপ করেছিলেন। তার মেয়ের সঙ্গে আরও ১৪ জন মেয়ে দাখিল পরীক্ষার জন্য ফরম ফিলআপ করে। ফরম পূরণের পরপরই করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে মাদ্রাসা বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় রউফের মেয়েও নিজের পছন্দে বিয়ে করে স্বামীর সংসারে চলে যায়। অন্য মেয়েদের খবর জানা ছিল না তার। সমপ্রতি মাদ্রাসা খোলার পর যোগাযোগ করে বাকি সব ছাত্রীদের বিয়ে হয়ে গেছে বলে জানতে পারেন।
বাগাতিপাড়া মহিলা মাদ্রাসার ১৫ পরীক্ষার্থীর এবার দাখিল পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল উপজেলার পেড়াবাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে। কেন্দ্রের সচিব ইব্রাহিম হোসাইন জানান, তার কেন্দ্রে পাঁচটি মাদ্রাসার ৯৮ জন ছাত্রীর পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই বাগাতিপাড়া মহিলা মাদ্রাসার ১৫ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগরীতে কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধবেগম জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে না দেয়া অমানবিক