‘তারুণ্যের উৎসব’ এর অংশ হিসেবে হাই স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হবে ‘তারুণ্য মেলা’। এ উৎসব বাস্তবায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফ্যাসিবাদী কার্যক্রম নিয়ে তথ্য চিত্র প্রদর্শন ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সেইসঙ্গে শিক্ষাঙ্গনে প্রতিদিন পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালাতে, সপ্তাহে একদিন ক্লাসে ‘উদ্যোক্তাদের সফলতার কাহিনি’ তুলে ধরতে এবং শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে ‘পলিথিন প্লাস্টিক’ বিরোধী সমাবেশ আয়োজন করতে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তারুণ্যের উৎসব উদযাপনে সরকারি–বেসরকারি হাই স্কুল, কলেজ এবং পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এসব কর্মসূচি আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) সঙ্গে আগামী ৩০ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া তারুণ্যের উৎসব বাস্তবায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। তারুণ্যের উৎসবের আনুষ্ঠানিক যাত্রা হবে এবারের বিপিএল দিয়ে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর শুরু বিপিএলের নতুন আসর। ১২টির বেশি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় প্রায় দুই মাস ধরে চলবে তারুণ্যের উৎসব। ক্রিকেট ছাড়াও ফুটবল, কাবাডি, ব্যাডমিন্টন, সাঁতার, অ্যাথলেটিকস ও বাস্কেটবলের নানা আয়োজন থাকছে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই তারুণ্যের উৎসবে। গত জুলাই–অগাস্টের গণ–অভ্যুত্থানের ছাপ থাকবে এ আয়োজনের পরতে পরতে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সেবা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব দীপায়ন দাস শুভ বলেন, বিপিএলের সঙ্গে সমন্বয় করে তারুণ্যের উৎসব বাস্তবায়নে এসব কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে একটি চিঠি এসেছিল। সে অনুযায়ী ইউজিসি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।