ছোট প্রকল্পগুলোতেও মেয়াদের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারার কারণ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সংশোধনের জন্য উপস্থাপিত একটি প্রকল্প নিয়ে আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন বলে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য অধ্যাপক শামসুল আলম জানান। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠকে যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী। খবর বিডিনিউজের।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা সচিব মো. আসাদুল ইসলাম অসুস্থ হওয়ায় গতকাল ব্রিফিংয়ে আসেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য অধ্যাপক ড. শামসুল আলম। তিনি বলেন, ‘কৃষি তথ্য সার্ভিস আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধি করে সংশোধনের জন্য এদিন একটি প্রস্তাব বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। এর ওপর আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী জানতে চান, সব প্রকল্পে দেরি হচ্ছে কেন?
ব্রিফিংয়ে শামসুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেন। সব প্রকল্পে দেরি হওয়ার কারণ কী। এটা একটা ছোট টাকার প্রকল্প। এইটা তো এতদিন লাগার কথা না। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, প্রকল্প তো শেষ হওয়ার পথে, সময় আরও দুই বছর বাড়াচ্ছেন কেন? ৬৮ কোটি টাকাকে ১০৯ কোটি টাকা করা হচ্ছে সময় বাড়ানোর জন্য। শামসুল আলম জানান, প্রকল্প পরিচালককে ডেকে ওই প্রস্তাব পর্যালোচনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সকল প্রকল্প যেন যথাসময়ে শেষ হয় সেই ব্যবস্থা নিন এবং কেন দেরি হচ্ছে, সেই কারণ অনুসন্ধান করুন।
বৈঠকে সংশোধনের জন্য তোলা ‘চরখালী-তুষখালী-মঠবাড়িয়া-পাথরঘাটা সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণ’ প্রকল্প নিয়েও প্রধানমন্ত্রী ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করেছেন।
ড. আলম বলেন, স্যার (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, এটা তো পুরনো সড়ক ছিল। চাইলেই তো এটা আপনারা করে ফেলতে পারতেন। এতদিন সময় কেন লাগল? আবার রিভাইজ (সংশোধন), আবার টাকা বাড়ানো… এগুলো বন্ধ করেন। এ ধরনের যে খাত, এটা আপনারা বন্ধ করেন। প্রকল্পের জন্য যে সময় নেবেন, সে সময় শেষ করা উচিত। প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে নিয়ে আসেন আর ব্যয় বাড়িয়ে নিয়ে আসেন, এটা আর হতে পারে না। এরপর আর এ ধরনের প্রকল্পের মেয়াদ এভাবে বাড়ানো হবে না বলে বৈঠকে জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন যে প্রকল্প নেওয়া হবে, সেই মেয়াদের মধ্যেই প্রকল্প শেষ করতে হবে।